ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭২)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭২) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর]
যখন আর ভার সহ্য করতে পারছিল না এবং পকেটের টাকাও ফুরিয়ে আসে, তখন তড়িঘড়ি করে জ্যাক নৌকার দিকে রওয়ানা হয়। সে ভাবছে ব্যাগ আর বাক্সগুলো খোলার সময় আজ রাতে সবাই কতই না খুশি হবে! 

মাইক অধৈর্য হয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে। জ্যাককে দেখতে পেয়ে সে আনন্দে আত্মহারা হয়ে জিনিসগুলো নৌকায় বোঝাই করতে তার সাহায্যে এগিয়ে যায়।

তারপর তারা রহস্য দ্বীপের গোপন আস্তানার দিকে বৈঠা বাইতে শুরু করে।

১৪. জ্যাকের কেনাকাটা
গরম চলে গেছে। দিন ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসে। বাচ্চারা টের পায় সন্ধ্যার পর আগুনের সামনে বসে থেকেও সব সময় যথেষ্ট গরম থাকা যাচ্ছে না, ওরা তাই উইলো বাড়িতে গিয়ে বাতি জ্বেলে খেলতে বসে। ঘরটা সব সময়ই আরামদায়ক।  
কয়েকটা জায়গা ভেঙে গিয়ে বাতাস ঢুকতে থাকায় আবারও ওদের তা গুল্ম আর ফার্ন জড়ো করে মেরামত করতে হয়। বেড়ার কাজে যে ডালগুলো পোতা হয়েছিল সেগুলোতে শিকড় আসায় লাঠির এখানে সেখানে গুচ্ছ গুচ্ছ ছোট ছোট সরু সবুজ পাতা ধরেছে! বাচ্চারা ওসব দেখে আনন্দিত হয়। দেয়াল আর ছাদটা বেড়ে উঠছে দেখে ওরা খুব মজা পায়!

একদিন মাইক আঁতকে ওঠে। লণ্ঠনের জন্য একটা মোম আনতে গিয়ে সে দেখে আর একটা মাত্র মোমবাতি রয়েছে! কেবল আগুন নিভে গেলে মাঝে মধ্যে ব্যবহার করে খুব সতর্কতার সঙ্গে খরচ করার পরও কয়েকটা মাত্র ম্যাচে বাকি থাকে।  

জ্যাক, আমাদের হাতে একটা মাত্র মোম আছে, মাইক বলে।  
ঠিক আছে তাহলে কয়েকটা আনতে যেতে হবে, জ্যাক বলে।  
কীভাবে? মাইক জিজ্ঞেস করে। এগুলো তো আর গাছে ধরে না, তাই না! 

জ্যাক বলতে চাইছে সে যাবে এবং কোথাও থেকে নিয়ে আসবে, পেগি বলে, সে তখন জ্যাকের ছেড়া শার্ট সেলাই করছে। রহস্য দ্বীপে তার বাক্সটা আনতে পারায় সে খুব খুশি। সে সবার কাপড়ের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে, ছিঁড়ে টুকরো হতে দিচ্ছে না এবং ছেঁড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেলাই করে সারিয়ে তুলছে।  
কিন্তু দোকান ছাড়া ও মোমবাতি কোথায় পাবে? মাইক বলে।

আমিও সেটাই ভাবছি, গম্ভীর স্বরে জ্যাক বলে। আমি খুব করে ভেবে দেখেছি। শরৎ আসছে। তখন আমাদের সন্ধ্যেবেলায় বেশি বেশি আলোর দরকার হবে। আরেকটা কম্বলও। তাছাড়া টুকটাক অনেক দরকারি জিনিসও দারকার।  

রিপুর কাজে আমার আরো বেশি উল আর কালো সুতো খুব বেশি দরকার, পেগি বলে। কাল আমাকে তোমার ছাইরঙা ট্রাউজারটা নীল উল দিয়ে সেলাই করতে হবে, জ্যাক।  
‘আর মুরগির জন্য খুব শিগগিরই কিছুটা ভুট্টাও লাগবে, নোরা বলে।  

আর খানিকটা আটা পাওয়া গেলে খুব ভালো হতো, পেগি বলে। কারণ আমার কাছে ব্যাগভর্তি আটা থাকলে মাঝে-মধ্যে আমি তোমাদের জন্য ছোট ছোট রুটি বানিয়ে দিতে পারতাম- রুটি খেতে খুব ইচ্ছে করছে, তোমার কি ইচ্ছে হচ্ছে না!
 
তাহলে তো খুবই চমৎকার হয়, জ্যাক বলে। ঠিক আছে, তাহলে সবাই শোন। আমি নৌকা নিয়ে লেকের শেষ মাথায় ওপারের গ্রামে যাবো, তারপর সেখানে গিয়ে আমাদের খুব বেশি দরকার এমন সব জিনিস কিনে নিয়ে আসবো, এটাই সবচাইতে ভালো হবে, তা কি তোমরা ভেবে দেখনি?
বাকিরা সবাই বিস্ময়ে চিৎকার করে ওঠে।

চলবে...

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।