ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭৪)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭৪) প্রতীকী ছবি

বলে রাখছি! ভরতে পারলে, সবগুলোই বিক্রি করে আসতে পারবে, জ্যাক, তখন তোমার কাছে সবকিছু কেনার মতো টাকা থাকবে। মাইক বলে। 

সবাই একটু আগেভাগেই শুতে যায়, কেননা ওরা জানে কাল সকালে খুব ভোরে তাদের বিছানা ছাড়তে হবে। ওদের কারো সঙ্গে কোনো হাতঘড়ি বা ঘড়ি নেই।

আর সকাল সকাল ওঠার একমাত্র উপায় হলো আগেভাগে ঘুমিয়ে পড়া! এটা ওদের জানা। রাতে ভয়াবহ গরম পড়ায় ওরা নিজেদের সেই বাইরের শোওয়ার ঘরে কাঁটা ঝোপের আড়ালে, আরাম করে গুল্মের বিছানায় শুয়ে পড়ে।

সেই প্রথম দিনের মতো এবারও কোনো কিছুই তাদের এই ঘুম ভাঙাতে পারবে না! একটা সজারু মাইকের পায়ের ওপর দিয়ে হেঁটে যায়, তবু সে সেদিকে চেয়ে দেখে না! একটা বাদুড় মাইকের মুখের ওপর ডানা ঝাঁপটায় তবু সে একটুও নড়ে না।

একবার ছোট্ট একটা মাকড়সা পেগির নাক থেকে কাঁধ পর্যন্ত জালবোনে, আর নোরা উঠে সেটা দেখতে পেয়ে ছেলেদের ডাকে। পেগির নাকের ওপর ছড়িয়ে থাকা একটা জাল দেখে সবাই খুব হাসাহাসি করে, আর তার মাঝখানে একটা পুঁচকে মাকড়সা! ওরা পেগিকে জাগিয়ে ঘটনাটা বলে- কিন্তু সে তাতে কিছুই মনে করে না! 

‘মাকড়সা শুভ!’ সে বলে। আজ আমার ভাগ্যে ভালো কিছু আছে! আর সেটাই ঘটতে দেখা যায়, কারণ সেদিন সে তার কাচিটা খুঁজে পায়, সপ্তাহখানেক আগে যেটা সে হারিয়ে ফেলেছিল!

সবাই খুব ভোরে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। পুব আকাশে তখন সবে দিনের আলো রূপালি একটা আভা ছড়াচ্ছে। বাচ্চাদের ঘুম ভাঙার পর কাছেই একটা রবিন টিক-টিক-টিক করে সুরেলা কণ্ঠে গেয়ে ওঠে। পাখিটা ওদের একটুও ভয় পায় না, কারণ ওরা সবাই পাখি পছন্দ করে আর খাওয়া শেষে ওদের দিকে সামান্য খাবার ছুড়ে দেয়। রবিনটা খুব পোষ মেনে গেছে আর রান্নার সময় প্রায়ই সেটা পেগির কাঁধে এসে বসে। সেও পাখিটাকে খুব পছন্দ করে।

ওরা সবাই বিছানা ছাড়ে এবং লেকের পানিতে গোসল করে আসে। পেগি ভাবে তাদের আরো একটা জিনিসের দরকার, এক খণ্ড সাবান! তাদের টুকরোটা ফুরিয়ে গেছে, তাই বালি দিয়ে ময়লা ঘষা খুব কষ্টের, সাবান না থাকায় তাদের এখন কাজটা এভাবেই সারতে হচ্ছে। জ্যাক তার মনের তালিকায় সেটা ঢুকিয়ে নেয়, তাতে করে মোট একুশটা জিনিস তাদের দরকার! প্রচুর জিনিস! 

‘মাইক আর আমার মাশরুম তুলে আনতে খুব বেশি সময় লাগবে না,’ নৌকায় উঠে বৈঠা দিয়ে ঠেলা দিতে দিতে, সে বলে। যাও তুমি আর নোরা গিয়ে স্ট্রবেরি তুলে আনো, পেগি। ফিরে এসে যাতে গরম কিছু খেতে পারি তাই কেটলিটা আগুনে চড়িয়ে রেখো। এই সকালটা ভীষণ কনকনে ঠাণ্ডা 

সূর্য ওঠার সাথে সাথে ওদের চারজনের সবাই খুব ব্যস্ত হয়ে পড়ে! মাইক এবং জ্যাক মাশরুম মাঠের অনেক দূর পর্যন্ত গিয়ে, যতটা পারা যায় অসংখ্য মাশরুম তুলে সঙ্গে আনা বড় একটা বস্তায় জমা করে। নোরা এবং পেগি দ্বীপের বুনো স্ট্রবেরি তোলে। অবশ্যই নোরা যেখানে চমৎকার সব স্ট্রবেরি দেখেছিল সেখান থেকে। চারদিকে মনোরম পাতার মাঝে গাঢ় লাল স্ট্রবেরি চকচক করছে, আর কিছু কিছু বেরি একেবারে বাগানের মতোই বড়।  

চলবে....
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।