ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭৭)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭৭) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর]
ওহ্, জ্যাক, সবকিছুই কি খুব চমৎকার হয়নি? পেগি চেঁচায়। এদিকে তাকাও। এবার আমাদের রাতের খাবার খেতে হবে। তারপর আমরা পরে আবারও সবকিছু খুঁটিয়ে দেখবো। তখন সব যত্ন করে তুলে রাখবো? তোমার আর মাইককে এই নতুন সব জিনিস উইলো বাড়ির তাকে তুলে রাখতে হবে! 

সবাই মিলে একসঙ্গে রাতের খাবার খেতে খেতে হঠাৎ গলা চড়িয়ে ওরা খাবার শেষে কে কী করবে তা ঠিক করে নেয়। রাতের খাবার হিসেবে খরগোশের স্টিউ, নোরার তোলা রানার শিম আর সবার জন্য একটা করে পোড়া আলু, এরপর ননি আর রাজবেরি।

 

জ্যাকের পক্ষ থেকে সবাইকে আধখানা মজাদার চকলেট! বাচ্চারা এতো খুশি যে তাদের মনে হয় আর কিছুতেই তারা এতো বেশি সুখী হতে পারতো না! ছেলে দু’টিকে ছাড়া মেয়ে দু’জন সারাদিন দ্বীপে একা একা থাকে। তাই আবারও একত্র হতে পেরে সবাই খুব স্বস্তিবোধ করে।  

রাতের খাবারের পর ওরা থালাবাসন ধোয় এবং ঝাড়ামোছা সেরে আগুন ধরায়। ওরা সবকিছু উইলো বাড়িতে নিয়ে রাখে, আর ছাদ থেকে ঝুলে থাকা একটা লণ্ঠন ধরায়। তাদের কিনে আনা যাবতীয় সম্পদ ভালো করে দেখতে যথেষ্ট আলো পেতে জ্যাকও একটা মোমবাতি ধরায়।

বলছি! সুন্দর সুন্দর অসংখ্য ম্যাচ! মাইক বলে। ওগুলো সতর্কভাবে শুকনো জায়গায় জমা রাখতে হবে।
আর বইগুলো দেখো! পেগি চেঁচায়। জ্যাক আজ আমাদের সবাইকে পড়ে শোনাবে। রবিনসন ক্রশো, আর বাইবেলের গল্প, বিশ্বের জীবজন্তুর কথা আর ছেলেদের অ্যারোপ্লেনের বই। মজার মজার অনেক বই! রবিনসন ক্রসো পড়তে বেশ মজা হবে, কারণ তাকে একটা দ্বীপে একা থাকতে হয়েছিল, ঠিক আমাদের মতো। যদিও, আমার ধারণা আমরা লোকটাকে অন্তত কিছুটা হলেও শেখাতে পারতাম!

সবাই হেসে ওঠে। সেও আমাদের কিছু জিনিস শেখাতে পারবে! জ্যাক বলে। জ্যাক সত্যিই খুব ভালোভাবে কেনাকাটা করেছে। এমনকি সে এক টিন গুড়ও এনেছে, যাতে মাঝেমধ্যে সবাইকে খুশি করতে পেগি টফি বানাতে পারে! সে চিনিও এনেছে, এটা তাদের চা আর কোকার স্বাদটাকে আরো মজাদার করে তুলবে। তাদের নিজেদের আনা চিনি অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে।  

এবার আর আমাদের সব জিনিস খুব সতর্কভাবে খরচ না করলেও চলবে, জ্যাক বলে। কারণ আমি প্রতিসপ্তাহে যেতে পারবো আর মাশরুম ও স্ট্রবেরি বেচবো আর বেশি করে কেনার জন্য টাকা আয় করবো।  
কিন্তু মাশরুম আর স্ট্রবেরির মৌসুম শেষে তুমি কী করবে? পেগি জিজ্ঞেস করে।  

তখন কালোজাম আর বাদাম পাওয়া যাবে, জ্যাক বলে। ওগুলোতে খুব বেশি টাকা না এলেও যে করেই হোক শীতের অঢেল মালামালের যথেষ্ট মজুদ আমি যোগাড় করতে পারবো। আমরা যদি আটা, আলু, চাল, কোকা আর এ ধরনের জিনিস পাই তাহলে আমরা পুরোপুরি অটুট থাকবো।  

ডেইজি সব সময় আমাদের দুধ আর ননি দেবে, আর মুরগি থেকে আমরা অনেক ডিম পাবো। লেক থেকে মাছ, আর দু’একটা খরগোশ তো পাওয়াই যাবে। আমরা সত্যিই খুব ভাগ্যবান।  
জ্যাক, আজ রাতে আমাদের পড়ে শোনাবে, নোরা অনুরোধ করে। অনেক দিন গল্প শোনা হয় না।  
তাহলে প্রথমেই আমরা রবিনসন ক্রশো পড়বো, জ্যাক বলে। গল্পটা খুব মানানসই। যাই হোক, নোরা, তুমি কি নিজে থেকে পড়তে পারো?

চলবে….

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।