এদিকে হাকিমপুর ও নূরনগর রাজ্যের অধিবাসীদের জীবনযাত্রাও অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এভাবে আরও কিছুদিন চলার পর রাজকুমারী আর রানির ছেলে রাজ্যের স্বার্থে গোপনে বিয়ে করলেন।
শান্তিপুরের রাজা-রানি (পর্ব-২)
এতে নব দম্পতি উপায় না পেয়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্যে আশ্রয় নিলো। বাবা-মাকে ছেড়ে রাজা রানির ছেলেমেয়েরা খুব কষ্টে জীবনযাপন করতে থাকলো। তবে তারা সব সময় হাকিমপুর ও নূরনগরের লোকজনের মঙ্গলের কথা চিন্তা করতো। তাদের বিশ্বাস একদিন না একদিন তাদের বাবা মা তাদের বিয়ে মেনে নেবেন।
রাজা ও রানি তাদের একমাত্র সন্তানকে শাস্তিস্বরূপ রাজ্যছাড়া করেছেন। এই শাস্তি দিয়ে তারা বেশ খুশিও হয়েছিলেন। এভাবে কয়েক বছর কেটে গেলো। কিন্তু আদরের সন্তানদের ছেড়ে রাজা ও রানি ভালো থাকতে পারলেন না। এদিকে হাকিমপুরের রাজা ঠিকমতো শাসনকার্যে মনোযোগ দিতে পারছিল না। ক’দিন পরেই তিনি কন্যার চিন্তায় অস্থির হয়ে গেলেন। অনুরূপভাবে রানিও তার ছেলের দুঃচিন্তায় অতিকষ্টে জীবনযাপন করছিল। তার মনটা সব সময় খারাপ থাকতো।
শান্তিপুরের রাজা-রানি (পর্ব-১)
রাজ্যের মন্ত্রীরা রানিকে সান্ত্বনা দিলেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই রানি শান্তি পেলেন না। সন্তানের চিন্তায় রানি ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। কোনো উপায় না দেখে রাজ্যের সভাসদরা রানিকে পরামর্শ দিলেন ছেলের বিয়ে মেনে নিতে। কিন্তু ছেলের বিয়ে মেনে নেওয়ার ইচ্ছা রানির মোটেও ছিল না।
অন্যদিকে হাকিমপুর রাজ্যের সভাসদরা রাজাকে বললেন, আপনার কন্যা হাকিমপুর রাজ্যের একমাত্র উত্তরাধিকারিণী। আপনার অবর্তমানে তিনি হবেন হাকিমপুর রাজ্যের রানি। আপনার উচিত রাজ্যের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মেয়ের বিয়ে মেনে নেওয়া। নতুবা ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হলে হাকিমপুর রাজ্যের অধিবাসীদের দুঃখ-দুর্দশার সীমা থাকবে না। এতে সমস্যা আরও বাড়বে। ’
চলবে...
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
এএ