মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর দেশজুড়ে মুক্তিযুদ্ধ ও যোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে বেশ কয়েকটি ভাস্কর্য। এসব ভাস্কর্য বহন করে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংগ্রামী ইতিহাস।
এমনই ভাস্কর্য জাগ্রত চৌরঙ্গী। মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে নির্মিত এটিই প্রথম ভাস্কর্য। বিজয়ের দুই বছর পর ১৯৭৩ সালে এটি নির্মাণ করেন ঢাকা আর্ট কলেজের সেই সময়ের অধ্যক্ষ, দেশের খ্যাতিমান ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক।
গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তার ঠিক মাঝখানে সড়কদ্বীপে অবস্থিত ভাস্কর্যটির ডান হাতে গ্রেনেড, বাঁ হাতে রাইফেল। লুঙ্গি পরা, খালি গা, খালি পা আর পেশিবহুল এক যোদ্ধার অবয়ব। যা স্মরণ করিয়ে দেয় দেশের আপামর মুক্তিযোদ্ধাদের।
ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক সহযোগী হামিদুজ্জামান খানকে নিয়ে ১৯৭২ সালে ভাস্কর্যটির নির্মাণকাজ শুরু করেন। কাজ শেষ হয় ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে। জাগ্রত চৌরঙ্গীর প্রকৌশলী ছিলেন আবদুর রশিদ, তার দুই সহকারী ছিলেন এম আহমদ ও আবদুল হক।
নির্মাণ তত্ত্বাবধানে ছিলেন মো. আসলুল হক ও আবদুল হক। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সুবেদার খন্দকার মতিউর রহমান বীরবিক্রম। নির্মাণকাজে জড়িত সবাই ছিলেন ঢাকা আর্ট কলেজের।
ভিত বা বেদিসহ জাগ্রত চৌরঙ্গীর উচ্চতা ৪২ ফুট ২ ইঞ্চি। ২৪ ফুট ৫ ইঞ্চি ভিত বা বেদির ওপর মূল ভাস্কর্যের ডান হাতে গ্রেনেড ও বাঁ হাতে রাইফেল। কংক্রিট, গ্রে সিমেন্ট, হোয়াইট সিমেন্ট ইত্যাদি দিয়ে ঢালাই করে নির্মিত এ ভাস্কর্যটিতে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩ নম্বর সেক্টরের ১০০ জন ও ১১ নম্বর সেক্টরের ১০৭ জন শহীদ সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লেখা।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, জেলা বাতায়ন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
এএ