ঢাকা থেকে নয়াদিল্লি অভিমুখে জেট এয়ারওয়েজের বিকেল বেলার ফ্লাইট। বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন টু ইন্ডিয়া-২০১৯ এর সঙ্গে ফ্লাইটে আসন নেওয়ার পর যাওয়ার পথে সন্ধ্যে গড়ায় কি-না, আবহাওয়া ঠিক থাকে কি-না, এমন নানা ভাবনা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো।
তারপর মিনিটকয়েক বাদেই শুধু জানালায় চোখ যায়। কেবল পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘেদের রাজ্যই চোখে পড়ছিল। আবার চোখ যায়, সীমানাহীন মেঘরাজ্যে যেন সব মেঘেদের সভা বসেছে।
এদিক-সেদিক খোশগল্পের ফাঁকে আবার চোখ যায় জানালায়! আরে, এই কি হিমালয়? কল্যাণদা তাকিয়ে বুঝলেন হ্যাঁ, এই-ই হিমালয়। যার সন্তান এভারেস্ট এই পৃথিবীর পর্বতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু শিয়রের।
বিকেলের লালরোদ যেন সোনা লেপে দিচ্ছিলো প্রাচীরের মতো গড়ে ওঠা হিমালয়ের গায়ে। হিমালয়ের সেই ঝিলিক যেন ইয়ুথ ডেলিগেটদের মুখে ছড়িয়ে পড়ছিলো, জানালা দিয়ে স্মার্টফোন আর ক্যামেরায় ক্লিক করতে করতে।
আহা হিমালয়! দুঃসাহসী অভিযাত্রীদের মতো না হোক, আকাশ থেকে, মেঘমালাদের ওপর থেকে হলেও তো তোমায় দেখা হলো!
হিমালয় দেখতে দেখতে পাশের ডেলিগেটের সঙ্গে হিমালয়-এভারেস্ট নিয়ে গল্প জুড়ে দিলেন কেউ কেউ। এরমধ্যে জেট এয়ারওয়েজের ক্রুদের আন্তরিক আতিথেয়তায় পরিবেশিত নাস্তায় পেটপূজো শুরু করে দিলেন কেউ কেউ।
গল্প জমলে নাকি সময় দ্রুত দৌড়ায়, সেজন্যই কি-না দু'ঘণ্টা পথ পেরিয়ে ফ্লাইট যখন ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলো, কেউ কেউ বলে উঠলো, এতো দ্রুত চলে এলাম?
আরও পড়ুন
নয়াদিল্লি পৌঁছেছে বাংলাদেশের শতযুবা
ভারতের পথে ১০০ ‘বাংলাদেশি-বন্ধু’
১০০ ‘বাংলাদেশি-বন্ধু’ ভারত যাচ্ছে বৃহস্পতিবার
ভারত যাচ্ছে আরও ‘১০০ বাংলাদেশি-বন্ধু’
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এইচএ/