ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুয়েত

কুয়েত থেকে জাহিদুর রহমান

কুয়েতের রক্তচোষা মানুষ

জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
কুয়েতের রক্তচোষা মানুষ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মুগরাব (কুয়েত) থেকে: ‘কুয়েতে দিন দিন বেড়েই চলেছে ‘রক্তচোষার’ সংখ্যা। পরিস্থিতি ক্রমেই চলে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

যা দেশটিতে বাংলাদেশিদের ইমেজকে ক্ষুন্ন করছে মারাত্বক ভাবে। একইভাবে এই রক্তচোষাদের কবলে পড়ে নিঃস্ব থেকে পথের ফকির হচ্ছেন অভিবাসী প্রত্যাশী ও কুয়েতে আসা শ্রমিকদের অনেকে।

কারা এই রক্তচোষা?
এক কথায় ভদ্রবেশি ভিসা ব্যবসায়ী। সবাই তাদের চেনেন। তারাই আবার হর্তাকর্তা। কমিউনিটিতে তাদের দাপুটে পদচারণা। যে কোনো উদ্যোগ আর সামাজিক পদক্ষেপে সবার আগে ডাক পড়ে তাদেরই। যাদের দৌরাত্বে সম্ভাবনাময় শ্রমের বাজারে অশনি সংকেত দেখছেন  অনেকে।

কুয়েতের মুগরাবে একটি রেষ্টুরেন্টে বসে এ কথাগুলো বলছিলেন এক প্রবাসী ব্যবসায়ী। সঙ্গত কারণে নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি। তবে এই ব্যবসায়ীর কথা যে এক বর্ন-ও মিথ্যে নয় তা টের পাওয়া গেলো কুয়েতের বাতাসে কান পেতে।

ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ। মানে চুনোপুটি থেকে রাঘব বোয়াল। সমাজের সব স্তরেই অস্তিত্ব পাওয়া গেলো রক্তচোষা এই ভিসা ব্যবসায়ীদের। কেউ সরাসরি কেউ বা আড়ালে মোটা অংকের বিনিয়োগ করে রেখেছেন ভিসা বাণিজ্যে। সিন্ডিকেটে ডজন খানেক সদস্য থাকলেও তাদের এজেন্ট ছড়িয়ে রয়েছে সমাজের সকল স্তরেই।

দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে কুয়েতের শ্রম বাজারে বাংলাদেশিদের জন্যে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে দেশটি। বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা বন্ধ। তাই শ্রমের বাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সংকটও তীব্র।

বাংলাদেশিরা স্বল্প বেতনে কঠোর পরিশ্রম করেন। অন্য দেশের শ্রমিকদের বেশি বেতন দিয়েও সেই কাজ আদায় করা সম্ভব নয়। যে কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদা আর সুনাম দুটোরই গুরুত্ব রয়েছে এখানকার নিয়োগ কর্তাদের কাছে।

দীর্ঘ বিরতির পর প্রায় দু বছর আগে নির্দিষ্ট মেয়াদ আর ক্যাটাগরিতে ৫ শতাধিক কৃষি শ্রমিকের জন্যে ভিসা উন্মুক্ত করে কুয়েত। দেশটির আল-জালজালা কোম্পানির মাধ্যমে কৃষিকাজের জন্য  বাংলাদেশি ৫৯১টি ভিসার প্রথম অনুমতি পান ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বাবলু।

এর মধ্যদিয়ে মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সুপারিশমালায়  নির্দিষ্ট কিছু  কাজ করার জন্য বাংলাদেশিদের রক্ষণশীল ভিসার অনুমতি দিচ্ছে দেশটি। বিচ্ছিন্নভাবে গত দু’বছরে প্রায় ২০ হাজারের অধিক শ্রমিক এভাবে প্রবেশ করেছে দেশটিতে। তবে মিশর বা ভারতের জন্যে ভিসা উন্মুক্ত থাকলেও বাংলাদেশের জন্যে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কাটেনি এখনো।

আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কুয়েতে চলছে রক্তচোষা ভিসা ব্যবসা।

কি করে?
ধরেন আপনি কুয়েতের কোনো কোম্পানি বা নিয়োগ কর্তা। আপনার কারখানা বা নির্মাণ সংস্থায় ১শ’ শ্রমিক লাগবে। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ থেকে শ্রমিক আনতে বিমান ভাড়া, ভিসা ফি সহ আনুষাঙ্গিক খরচ হয় কুয়েতি মুদ্রায় প্রায় ৩৫০ কেডি (কুয়েতি দিনার)। বাংলাদেশি টাকায় যা ৮০ থেকে ৯০ হাজার।

নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ প্রথমে কর্মী আমদানির অনুমোদন চাইবেন কুয়েতের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। যেহেতু বাংলাদেশে সকল সেক্টরে অলিখিতভাবে জনশক্তি আমদানি বন্ধ রয়েছে তাই ছাড়পত্র যোগাড়ে সেখানেও বেশ ‘কাঠখড়’ পোড়াতে হয়।

জনশক্তি ব্যবসায়ীদের দাবি এখানে অনেককে খুশি করতে অর্থ খরচ হয়। বিশাল সংখ্যক কর্মী বাহিনীর জন্যে দিতে হয় বড় ধরনের কোনো উপহার বা উপঢৌকন। ধরেন চার’শ জনবল আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে অনুমতি মেলে দু’শ জনের।

এবার শুরু নিরীহ শ্রমিকদের নিয়ে রক্তচোষা ভিসা ব্যবসায়ীদের খেলা। যেখান নিয়োগকর্তার ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা খরচের কথা। সেখানে বাংলাদেশি ভিসা ব্যবসায়ীরা  ভিসা প্রতি উল্টো ১ হাজার কেডি প্রস্তাব করছেন নিয়োগ কর্তাকে। যেখানে বাংলাদেশি টাকায় আড়াই লাখ টাকার বেশি। এই বিনিয়োগের বাইরে রয়েছে ভিসা ব্যবসায়ীর লাভ। যার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই খরচ দাঁড়াচ্ছে তিন লাখ টাকা। ফলে কর্মী নিয়োগ করে জনপ্রতি প্রায় লাখ টাকা খরচের পরিবর্তে লাভ হিসেবে উল্টো নিয়োগ কর্তার ঘরে উঠছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা।

অনেকটা শ্রম দাসের মতো। বিনা চালানেই নিয়োগ কর্তার লাভ আড়াই লাখ টাকা। সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে লাভ।

এখানেই শেষ নয়। শ্রমিক আনার জন্যে উল্টো মানব দালালদের কাছ থেকে কুয়েতি নিয়োগকারী যে অর্থ সে পেলো সেই অর্থ দিয়েই শ্রমিকদের পারিশ্রমিক প্রদান। মোটা দাগে কইয়ের তেলে কই ভাজা।

কিভাবে?
ধরেন কৃষি খামারে এখন ন্যূনতম মাসিক বেতন ৬০ কেডি (কুয়েতি দিনার। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় পনের হাজার টাকা।

তার মানে দুই বছর মেয়াদের চাকরির সাড়ে ষোল মাস খেটেখুটে সবে অভিবাসন ব্যয় উঠাতে পারবে শ্রমিক। আর যদি তিন লাখ টাকা খরচ হয় তাহলে মেয়াদের পুরো সময়টাই তাকে এক হিসেবে বিনা মাইনেতে মরুভূমির দেশে কঠোর পরিশ্রম করে শুন্য হাতেই ফিরতে হবে দেশে।
বেশ সহজ করে বুঝিয়ে দেন নাম প্রকাশে অনিচ্চুক প্রবাসী ওই ব্যবসায়ী।

এদিকে নিয়োগ কর্তাদের কাছে ভিসার আধিপত্য বজায় রাখতে এ পর্যায়ে চলে রক্তচোষা ভিসা ব্যবসায়ীদের অশুভ প্রতিযোগিতা। কেউ এক হাজার কেডিতে ভিসা কিনলেও প্রতিযোগী বা প্রতিপক্ষ অন্যরা দর হাঁকছেন ভিসা প্রতি দেড় হাজার থেকে দুই হাজার দিনার। কখনো তা ছাড়িয়ে যায় আড়াই হাজার দিনারে। তাহলে ছয় কিংবা সাত লাখ টাকার বিনিময়ে দেশ থেকে শ্রমিক কুয়েতে এসে কিভাবে অভিবাসন ব্যয় উঠিয়ে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন?

উত্তরটা খুবই সোজা। শ্রমিকরা মরুভূমির  বুকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কঠোর পরিশ্রম করছেন ঠিকই। কিন্তু তার সব সময়ের চিন্তা অভিবাসন ব্যয় উঠিয়ে দ্রুত দেশে টাকা পাঠানো। কিন্তু তিনি যখন এটা পারছেন না তখনই চুরিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হচ্ছেন। ধরা পড়লে কারাদণ্ড ভোগ করে ফিরতে হচ্ছে শুন্য হাতে। আবার ক্ষোভ আড়াল করতে না পেরে ভিসা ব্যবসায়ীর ওপর চড়াও হচ্ছেন। ঘটছে অপ্রীতিকর নানা ঘটনা। যার কারণে সে দেশের খবরের কাগজে ভিন্ন শিরোনাম হচ্ছে বাংলাদেশ।

কুয়েতে আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অন্যত্র কাজ করা বেআইনী।

সামান্য বেতনে কুলিয়ে উঠতে না পেরে শ্রমিকদের অনেকে আইন ভঙ্গ করেই বাড়তি শ্রম বিক্রি করছে অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে। অমানুষিক পরিশ্রমে শ্রমিকরা নিজেকে একদিকে ক্ষয় করছেন অন্যদিকে থাকছেন তীব্র মানসিক চাপে।

তবে শেষ পর্যন্ত আকাশ ছোঁয়া অভিবাসন ব্যয় কোনো মতেই তুলতে পারছে না তারা। এভাবেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে মানসিক সমস্যার ডুবে যাচ্ছে বহু শ্রমিক। এসব নিয়েই ঘটছে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা। যার জেরে ভিসা প্রাপ্তিতে নতুন নতুন বিধি নিষেধ ও শর্ত আরোপ করছে দেশটি। যে সমস্যার মূলেই রয়েছে রক্তচোষা ভিসা ব্যবসায়ীদের তৎপরতা।

এতো গেলো নিয়োগ কর্তার অংশ। আবার আসি বাংলাদেশ দূতাবাসের অধ্যায়ে।

কুয়েতের নিয়োগ কর্তা নির্দিষ্ট সংখ্যায় জনশক্তি আমদানির অনুমতিপত্র দূতাবাসে দাখিল করলে দূতাবাসের শ্রম বিভাগ সরেজমিনে বিষয়গুলো তদন্ত করে। যাচাই-বাছার করে দেখা হয় প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানটি শ্রমিক নিয়োগ করছে কি না। বা তাদের কাজের পরিবেশ বেতনসহ সুযোগ সুবিধা প্রদানে সক্ষমতা রয়েছে কি না।

এর মাধ্যমেই বেরিযে আসে অনেক জালিয়াতি। সবকিছু সঠিক হলে তবেই বাংলাদেশ থেকে কর্মী আমদানির অনুমতি দেয় দূতাবাস।

আবার কোনো ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়ম পাওয়া গেলে কর্মী নিয়োগের অনুমোদন বাতিল করে দেয় দূতাবাস। সেক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের প্রভাব খাটিয়ে দূতাবাসের সুপারিশ এড়িয়ে শ্রমিক আমদানির নজির রয়েছে কুয়েতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দূতাবাসের লেবার সেকশনে একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রদূতের চূড়ান্ত স্বাক্ষরের মাধ্যমেই প্রতিটি ভিসার ছাড়পত্র দিয়ে থাকে দূতাবাস। এতে শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টিই প্রাধান্য দেওয়া হয় সবার আগে। পাশাপাশি মানব দালাল কিংবা কোম্পানির প্রতারণার এড়ানোর সুযোগ রয়েছে এই ছাড়পত্রে।

এছাড়াও কোনো শ্রমিক কোম্পানির কাছ থেকে সুবিধা বঞ্চিত হলে সে সময় দূতাবাস দ্রুত কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে।

দূতাবাসের শ্রম বিভাগের সূত্র মতে, প্রতিটি ভিসা ছাড়পত্র দেওয়ার আগে কোম্পানিটি কুয়েতে ব্লাকলিস্ট কিনা, আবাসস্থল উপযোগী কিনা কিংবা ঠিকভাবে কোম্পানিটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে কি না এমন আরো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর সরেজমিনে তদন্ত করে তবেই দূতাবাসের পক্ষ থেকে এসব ভিসার ডিমান্ড লেটারে স্বাক্ষর দেওয়া হয়।

তবে এ পথে না গিয়ে রক্ত চোষা ভিসা ব্যবসায়ীরা দূতাবাসকে এড়িয়ে বাংলাদেশ থেকেই ভিন্ন পথে ভিসার ছাড়পত্র করিয়ে নেয়।

বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলছে দূতাবাস। রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আসহাব্ উদ্দীন প্রবাসীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাখঢাক ছাড়াই অবস্থান নিয়েছেন এসব রক্তচোষাদের বিরুদ্ধে। কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ার করছেন অর্থলোভী মানব দালালদের। তা সত্বেও থেমে নেই এই বাণিজ্য।

রাষ্ট্রদূত বাংলানিউজকে জানান,বাংলাদেশি কতিপয় ভিসা ব্যবসায়ী এখানে রক্ত চোষার ভূমিকায় রয়েছে। তারাই কুয়েতিদের নানা দুর্বলতা দেখিয়ে দিচ্ছেন। তাদের নষ্ট করছেন। হত দরিদ্র মানুষদের মাত্রাতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে এ দেশে এনে তাদের সর্বশান্ত করছেন। দেশটা তো মা। আমরা বলি মাতৃভূমি। তাহলে কিভাবে তারা মায়ের রক্ত চোষা অর্থে সাম্রাজ্যে গড়ছেন? সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
বিএস

** কুয়েতে রচনার বাংলাদেশ রচনা

** গাড়ি নতুন, ফোন পুরনো!
** ‘আঁততে আর বাংলাদেশত যাইতাম মনে ন হ’
** ব্যাডা মাছ, বেডি মাছ!
** ‘ধরা পড়লে রক্ষা নেই, কুয়েত থাকার সুযোগ নেই’
** কুয়েতে একখণ্ড ‘বাংলাদেশ’ বাংলা মার্কেট
** কুয়েতের রাজধানী
** সবার উপর দেশ
** কুয়েতে সবাই এমপি!
** সেই ‘ছোট মানুষটিই’ কুয়েতের বড় ব্যবসায়ী
** কুয়েতের বাতাসে ধ্বনিত হয় বাংলা
** কুয়েতের ডাক্তার আপা
** ‘জীবন যুদ্ধ কইত্যে কইত্যে একটা জায়গায় পৌঁছাইছি’
** কুয়েতে তথ্য প্রযুক্তি খাতে সেনা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ
** আইনে নেই, তবুও বেআইনি চর্চা
** পরিবেশ পেলে বিনিয়োগ যাবে কুয়েত থেকে
** কুয়েতের জন্যে বাংলাদেশের আত্মত্যাগ
** কুয়েত পুনর্গঠনে বাংলাদেশ
**  কুয়েতে বাংলাদেশের ‘প্রিন্স’ সহিদ
** হয়রানি ও নাজেহালের শিকার হচ্ছেন প্রবাসীর
** অলিদের বঞ্চনা দেখার কেউ নেই
** শিল্প-সাহিত্যেও পিছিয়ে নেই প্রবাসীরা
** বাংলাদেশিদের কাজের ঠিকানা সুলাইবিয়ার ফল-সবজির বাজারও
** পরিবর্তনের দূত মেজর জেনারেল আসহাব উদ্দিন
** কুয়েতে মানবতার ফেরিওয়ালারা!
** সততা আর নিষ্ঠা থাকলে ঠেকায় কে?
** মরুর বুকে বুকভরা নিঃশ্বাস
** শ্রমিকদের মাথার মুকুট আব্দুর রাজ্জাক
** আরব সাগর থেকে হিমেল বাতাসে ভর করে এলো ছন্দ
** মরুর কুয়েত সবুজ চাদরে ঢাকছেন নাফিস জাহান
** ফেব্রুয়ারিতেই খুলনার মারুফের জীবনে আসছে পূর্ণতা!
** কুয়েতে গুলশান!
** কুয়েতের অ্যাম্বাসেডর!
** জন্ম কুয়েতে, হৃদয় বাংলাদেশের
** সূর্য ওঠার আগেই ঘুম ভাঙে চট্টগ্রামের শাহজাহানের
** ধূসর মরুভূমিতে সবুজ স্বপ্ন!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কুয়েত এর সর্বশেষ