সোনাডাঙ্গা (খুলনা) থেকে: ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে। তাই আলো ঝলমলে গোটা বাড়ি।
সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় কেডিএর তৃতীয় প্রকল্পের দুই নম্বর সড়কের এ বাড়িটি ঘিরেই এখন যত কৌতুহল পড়শীদের।
আলহাজ্ব হাফেজ মো: আব্দুল মতিন হাওলাদার ও আলহাজ্ব মোছা. মনোয়ারা বেগম দম্পত্তির জীবনেও এখন আনন্দের বন্যা।
এই বাড়ির দ্বিতীয় সন্তান কুয়েত প্রবাসী মনিরুল ইসলাম মারুফ পা রাখছেন বিয়ের পিঁড়িতে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে তার প্রবেশ ঘিরে নানা আয়োজন আর উৎসবের মুখরতা এখন মহল্লাজুড়ে।
জীবনের নতুন ইনিংস-এ পা রাখা মারুফের আজ বিয়ে। কনে তানিয়া আক্তার ঐশী। খুলনার রূপসা এলাকার বাবুল আক্তার আর শাহীনা আক্তার দম্পত্তির জ্যেষ্ঠ কন্যা।
শহরের হোটেল টাইগার গার্ডেনেও এখন সাজ সাজ রব। দুপুর দেড়টায় এই বিয়ের বরযাত্রায় সঙ্গী বাংলানিউজও।
কেন? কারণ সবকিছু্র মূলে তো বাংলানিউজই। আমার প্রিয় সংবাদ মাধ্যম। মেহেদী জড়ানো মুখে বেশ সহাস্যেই কথাগুলো বলছিলেন মারুফ।
বাংলানিউজকে তাঁর সাফল্যের কাহিনী প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির সাথেও জড়িয়ে যায় আত্মার বাঁধন।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর। সফল এই মানুষটিকে নিয়ে ‘ফেব্রুয়ারিতেই খুলনার মারুফের জীবনে আসছে পূর্ণতা!’ শিরোনামে ভিন্নধর্মী একটি খবর পরিবেশন করে বাংলানিউজে। তারপর নিজ শহর ছাড়াও প্রবাসে সবার মুখে ছড়িয়ে যায় মারুফের নাম ডাক। বলতে গেলে পরিণত হন সেলিব্রেটিতে! কনে কে? বিয়ে কবে ইত্যাদি
নানা প্রশ্নে মারুফকেও দিতে হয় পরিচিত অপরিচিত জনদের নানা জবাব।
এই বিয়ের সংবাদেরইবা বৈশিষ্ট্য কি?
সেটার কারণও বাংলানিউজ। শূন্যহাতেই মাত্র ২২ বছরে ভাগ্য অন্বষণে মরুভূমির দেশ কুয়েতে পাড়ি দেয়া সংগ্রামী যুবক মনিরুল ইসলাম মারুফ নিজের ভাগ্য বদলেছেন নিজের মেধা,পরিশ্রম আর একাগ্রতায়। হয়েছেন সফল ব্যবসায়ী।
তার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানেই এখন কাজ করে দেড় শতাধিক স্বদেশি। এভাবেই প্রবাসে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে চলেছেন মারুফরা।
‘এই খবর আসলে কেবলই খবরই নয়। অনেকের অনুপ্রেরণার উৎস। ধন্যবাদ বাংলানিউজকে। আমার জীবন সংগ্রাম আর সফলতার কথা তুলে ধরার জন্যে। যে কারণে
আমি চাই আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে পা রাখার যাত্রায় সামিল হোক বাংলানিউজ। ’
দেশে ফেরার আগে এমনটিই আবদার রেখেছিলেন তিনি।
পাঠকের আস্থা আর ভালোবাসায় বরাবরই সিক্ত বাংলানিউজ। তাদের কারণেই দেশ সেরা এই সংবাদ মাধ্যমটি।
তাই মারুফের আহবানে সাড়া দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়ে তার কাছে পৌঁছে যায় বাংলানিউজ।
জানানো হয় সংগ্রামী এই মানুষটিকে শুভেচ্ছা আর অভিবাদন।
সেই খবরে জীবনে পূর্ণতা আনার ব্যাপারে ফেব্রুয়ারি বলা হলেও আসলে ব্যস্ততার কারণে সময়ের সামান্য হেরফের। এই যা। তবে ফাল্গুনের শেষ লগ্নে।
মাত্র দিন তিনেক আগে জীবনে নতুন ইনিংস’এ যুক্ত হতে কুয়েত থেকে উড়ে আসেন মারুফ। সঙ্গে চলে আসেন সেখানকার কমিউনিটি আর ব্যবসায়ী নেতারাও।
বৃহস্পতিবার গোটা দিনজুড়েই ব্যস্ততা ছিলো মারুফ আর ঐশীর। ছিলো তাদের হলুদ সন্ধ্যা। এদিন দিনভর দুই পরিবারের ব্যস্ততা কেটেছে হলুদের ছোঁয়ায়। আশীর্বাদ আর ভালোবাসায় সেজেছে জীবন। রঙিন হয়েছে বর্ণিল রঙে।
বর-কনে। দুজনের পরিবারের হলুদের সাজে যেন ফিরে আসে বাসন্তি উৎসব। ছেলে বুড়ো সবার পরণেই হলদে পাজামা, পাঞ্জাবি। কনেদের বাসন্তি রঙের শাড়ি।
জীবনের পূর্ণতার পথে পা রাখা মারুফ দোয়া চেয়েছেন সবার।
** ফেব্রুয়ারিতেই খুলনার মারুফের জীবনে আসছে পূর্ণতা!
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৬
জেডএম/