ঢাকা: সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় সরকারি টাকায় নির্মিত একটি ম্যুরালে থাকা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ছবি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেত্রীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার (৮ জানুয়ারি) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে সেখান থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ভাইয়ের ছবি সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গত ২৩ জুন মেসার্স রানা ট্রেডার্সকে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭২৪ টাকা চুক্তিমূল্যে ম্যুরালটি বানাতে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৩০ দিনের মধ্যে মধ্যনগর ব্রিজসংলগ্ন স্থানে ম্যুরাল নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
ম্যুরালের ডিজাইনে এক পাশে বঙ্গবন্ধু ও আরেক পাশে শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি থাকার কথা। তবে সেখানে কোনো অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেন মধ্যনগরের বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী সাজেদা আহম্মেদ।
এর আগে তিনি এ বিষয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সারা দেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রতিটি উপজেলা চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপিত হয়েছে। নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় সেই ম্যুরাল নেই। এই ম্যুরাল না করে ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এডিবির অর্থায়নে ১০ লাখ টাকায় মধ্যনগর উপজেলা পরিষদের নির্ধারিত সরকারি জমিতে ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন একটি ম্যুরাল নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছেন।
‘ত্রয়ী’ নামের ওই ম্যুরাল স্থাপনায় প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। নিচে একই স্থাপনায় সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই মোজাম্মেল হোসেন রোকনের ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২২
ইএস/এসএ