ঢাকা: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে চার আসামিকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের ওপর ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে।
শুনানি শেষে বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য ১৫ জানুয়ারি (রোববার) দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট পাকুন্দিয়ার চরকাউনা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সাকিবুল হাসান ওরফে টুটুলকে স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহরণ করা হয়। ওই দিন টুটুলের মায়ের মোবাইল ফোনে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
বিষয়টি পুলিশকে জানালে রাতেই তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ও হোসেনপুর সার্কেলের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের অভিযান শুরু হয়। পরে টুটুলের বাবার বন্ধু দুলাল মিয়া, সোহাগ মিয়াসহ চারজনকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই বছরের ১৪ আগস্ট ভোরে পুলিশ চরকাওনা নয়াবাজার-সংলগ্ন একটি ঝোপের ভেতর থেকে টুটুলের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। টুটুলকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল।
পরে পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩ মে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আওলাদ হোসেন ভূঁইয়া চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাউনা গ্রামের আমিনুল হক, ডালিম, সোহাগ মিয়া ও দুলাল মিয়া।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
ইএস/আরআইএস