ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কিবরিয়া হত্যা মামলা: আবারও পেছালো সাক্ষ্যগ্রহণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
কিবরিয়া হত্যা মামলা: আবারও পেছালো সাক্ষ্যগ্রহণ

সিলেট: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

কিন্তু পুলিশ সাক্ষী উপস্থাপন করতে না পারায় সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পেছানো হলো।

এদিন সকালে মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও জঙ্গি নেতা আব্দুল মাজেদ বাদে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের মেয়র জিকে গৌসসহ অন্যান্য আসামিদের আদালতে আনা হয়। কিন্তু আদালতে তাদের পেশ করার আগেই বিচারক শুনানি শেষে সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন তারিখ ধার্য করেন। যার কারণে আসামিদের আর প্রিজন ভ্যান থেকে নামানো হয়নি।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী জয়নাল আবেদীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের কাস্টডি ওয়ারেন্ট ছিল। আর পুলিশ সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় আদালত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর সারোয়ার হোসেন আবদালকে ফোন করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

২০০৫ সালর ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ ৫ জন।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা তিন দফা তদন্ত করে সিআইডি। ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ প্রথম দফায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দেয় তারা। এর বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেন বাদী মজিদ খান। ২০০৭ সালে মামলাটি পুনঃ তদন্তের জন্য আবারো সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এরপর ২০১১ সালের ২০ জুন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নানসহ ২৪ জনকে আসামি করে অধিকতর তদন্তের অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই বছরের ২৮ জুন শাহ এএমএস কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া সেই অভিযোগপত্রের ওপরও নারাজি আবেদন করেন।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিআইডি সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এছাড়া ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় (নং-২৩/০৫)২৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

হত্যা মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, মোহাম্মদ আলী, বদরুল ওরফে মো. বদরুল, আলহাজ্ব মাওলানা তাজ উদ্দিন ও মো. মুহিবুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মিজানুর রহমান মিটু, হাফেজ সৈয়দ নাঈম আহমদ আরিফ প্রকাশ নিমু, বদরুল আলম মিজান, মাওলানা শেখ ফরিদ আহমদ, আব্দুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, মুহিবুল্লাহ ওরফে মুজিবুর রহমান প্রকাশ অভি ও মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম।

এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌসসহ ১২ জন জামিনে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
এনইউ/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।