ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিশু টুটুল হত্যা: আসামি আমিনুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
শিশু টুটুল হত্যা: আসামি আমিনুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল 

ঢাকা: ২০১৪ সালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মো. সাকিবুল হাসান টুটুলকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।  

তবে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মামলার অন্য দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও দণ্ডিতদের আপিল শুনানি শেষে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এ রায় দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্ববিজৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ।  

দণ্ডিত আসামি হলেন মো. আমিনুল হক। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- দুলাল মিয়া ও সোহাগ মিয়া।

আদালতে দুলাল মিয়া ও মো. আমিনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ও শেখ মো. শামসুজ্জামান। সোহাগ মিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা।  

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশীদ।

খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে নোট দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশীদ।

স্কুল থেকে ফেরার পথে ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট পাকুন্দিয়ার চরকাউনা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে সাকিবুল হাসান টুটুলকে অপহরণ করা হয়। পরে টুটুলের মায়ের মোবাইল ফোনে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযানে নামে। এদিকে অপহরণের পরদিন ১৩ আগস্ট টুটুলের বাবা পাকুন্দিয়া থানায় অপহরণের মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

এদিকে পুলিশের অভিযানে অপহৃত টুটুলের বাবার বন্ধু দুলাল মিয়া, সোহাগ মিয়াসহ চারজন ধরা পড়ে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ আগস্ট চরকাওনা নয়াবাজার সংলগ্ন একটি ঝোপ থেকে টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। টুটুলের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে পরে ময়নাতদন্তে উঠে আসে। মামলাটি তদন্তের পর মো. ডালিম, মো. সোহাগ মিয়া, মো. দুলাল মিয়া ও মো. আমিনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৮ এবং দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে মামলাটি কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩ মে চার আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দেন ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক মো. আওলাদ হোসেন ভূঁইয়া। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরে দণ্ডিতরাও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিল বিচারাধীন অবস্থায় মো. ডালিম মারা গেলে তার আপিলটি বাদ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২২
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।