কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে কৃষক আমিরুল হক হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ছয়জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল কুদ্দুস মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার পশ্চিম কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার বড় দুই ভাই আবুল কালাম (৬০) ও ধনু মিয়া (৫৫) এবং ধনু মিয়ার ছেলে ফুকন মিয়া (৩০), পশ্চিম কুতুবপুর এলাকার সোনাফর আলী (৫৫), মুকুল মিয়া (৫৩) ও তার ছেলে নিকুল মিয়া (৩৩)। রায় ঘোষণাকালে আদালতে অন্য আসামিরা উপস্থিত থাকলেও ফুকন মিয়া পলাতক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, জমি নিয়ে পশ্চিম কুতুবপুর এলাকার কৃষক আমিরুল হকের সঙ্গে আব্দুল কুদ্দুস ও আবুল কালামদের পরিবারের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর দিনগত রাত ২টার দিকে আমিরুলের বাড়িতে হামলা চালান তারা। ওই সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমিরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান তারা। পরদিন ১১ অক্টোবর নিহতের বড় ছেলে শরীফ মিয়া বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি প্রথমে বাজিতপুর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম তদন্ত করেন। পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। কিশোরগঞ্জের সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১ মার্চ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম বাংলানিউজকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
এসআই