ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পিকে হালদারের মামলায় ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
পিকে হালদারের মামলায় ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পিকে হালদার -ফাইল ছবি

ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে তিন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জন সাক্ষ্য দেন।

 

এনিয়ে মামলাটিতে ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ২৫ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বুধবার সাক্ষ্য দেন- ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী, আশেক ইমাম ও মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শাখার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট নকীবুল ইসলাম ও খিলগাঁও সাব-রেজিস্ট্রার এসএম শফিউল বারী।

দুদকের আইনজীবী মীর আহাম্মদ আলী সালাম এতথ্য জানান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিনকে সমন পাঠানো হবে। তিনি সাক্ষ্য দিলে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে।

সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া পিকে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের নামে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

এরপর মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
কেআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।