ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কাতার বিশ্বকাপ: হতাহত শ্রমিকের তালিকা করার আদেশ স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
কাতার বিশ্বকাপ: হতাহত শ্রমিকের তালিকা করার আদেশ স্থগিত

ঢাকা: কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামসহ বড় সব স্থাপনা ও উন্নয়নকাজে ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশি শ্রমিক হতাহত হয়েছেন, তা নিরুপণ করার পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

পাশাপাশি ৬ মার্চ শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটকারী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান।

জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের এক আইজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত  সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই আদেশ দেন।

বাংলাদেশি শ্রমিক হতাহত হয়েছেন, তা নিরুপণ করার পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে  প্রতিবেদন দিতে পররাষ্ট্রসচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস, সুইজারল্যাণ্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

রুলে বিশ্বকাপ উপলক্ষে ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কাতারে ১১টি স্টেডিয়াম, রাস্তা, হোটেল ও অন্যান্য অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে নির্মাণে যুক্ত অভিবাসী বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিকের তালিকা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক নির্মাণকাজে করতে গিয়ে আনুমানিক সাড়ে চারশ অভিবাসী নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যুর যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্যি হলে এর মধ্যে বাংলাদেশের কতজন নির্মাণ শ্রমিক রয়েছেন, সে তথ্য সংগ্রহ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া কাতার বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক বিভিন্ন নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে অভিবাসী বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিক হাতহত হয়ে থাকলে তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন রুলে।

পররাষ্ট্রসচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন প্রধান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা), কাতারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (ইন্টেরিয়র) ও শ্রমমন্ত্রীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বকাপ আয়োজনের গৌরব অর্জনের পর থেকে কাতারে প্রতি সপ্তাহে গড়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান বাদে ৪টি দেশে গার্ডিয়ানের নির্ভরযোগ্য সূত্র ও দেশগুলোর সরকারি হিসাবই বলছে—২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯২৭ জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মৃত বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ১ হাজার ১৮। কাতারে পাকিস্তানের দূতাবাস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে ৮২৪ জন পাকিস্তানি শ্রমিক মারা গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।