ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

পিকে হালদারের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য অব্যাহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
পিকে হালদারের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য অব্যাহত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার। ফাইল ছবি

ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।  

বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ-১০ মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন।

তবে এদিনও তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে মামলাটিতে মোট ৯৯ জন সাক্ষ্য দেন। চার্জশিটভুক্ত ১০৬ সাক্ষীর মধ্যে ১০০তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষী দিচ্ছেন তিনি। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে।

দুদক কৌশলী মীর আহাম্মদ আলী সালাম এ তথ্য জানান।

সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়।

পিকে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

এরপর মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক৷ চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
কেআই/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।