ঢাকা: ফৌজদারি মামলায় সরকারি সাক্ষীদের সাক্ষ্য ভাতা দিতে নতুন অর্থনৈতিক খাত সৃষ্টি করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। একইসঙ্গে ওই খাতে অর্থ বরাদ্দের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমানের সই করা একটি স্মারক জারি করা হয়েছে।
ওই স্মারকের ভাষ্য মতে, ফৌজদারি মামলায় সরকারি সাক্ষীদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী ও অন্যান্য সরকারি সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে যাতায়াত ও দৈনিক ভাতা (টি.এ ও ডি.এ) না পাওয়ায় সাক্ষ্য দিতে আসতে আগ্রহী হন না। ফলে তাদের আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আনা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
আইনের শাসন এবং ন্যায় বিচার সুসংহত করতে আদালতে বিচারাধীন ফৌজদারি মামলায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত করতে তাদের যাতায়াত ও দৈনিক ভাতা (টি.এ ও ডি.এ) দেওয়া আবশ্যক।
ফৌজদারি আইনের ৫৪৪ ধারায় বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
স্মারকে আরও বলা হয়, এর আগে দায়রা আদালত ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক কোডে সাক্ষীর খরচ বাবদ প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতো সরকার এবং সে অনুযায়ী সাক্ষীদের তা দেওয়া হতো। বর্তমানে এরূপ কোনো অর্থনৈতিক খাত (কোড) না থাকায় তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ অবস্থায় আদালত/ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীর যাতায়াত ও দৈনিক ভাতা (টি.এ ও ডি.এ) দেওয়ার আদেশ প্রদান করা হলে সেই আদালত অথবা তার ঊর্ধ্বতন যে আদালতে সাক্ষীদের ভাতার জন্য বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হবে সেই আদালতের সংশ্লিষ্ট হিসাব শাখা থেকে সাক্ষ্য গ্রহণকারী আদালতের আদেশ/সার্টিফিকেটের কপি জমা দেওয়া সাপেক্ষে সাক্ষী যাতায়াত ও দৈনিক ভাতা (টি,এ ও ডি.এ) উত্তোলন করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ যে সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের নিজস্ব বাজেট বরাদ্দ আছে সেসব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বাজেটে সরকারের সাক্ষীদের খরচ বাবদ প্রয়োজনীয় নতুন অর্থনৈতিক কোড/খাত সৃষ্টি করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অত্র কোর্ট পরামর্শ প্রদান করেছে।
এমতাবস্থায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪৪ ধারার আলোকে অধস্তন আদালত/ ট্রাইব্যুনালসমূহে ফৌজদারি মামলায় সরকারি সাক্ষীদের সাক্ষ্য ভাতা দিতে নতুন অর্থনৈতিক কোড/খাত সৃষ্টি এবং খাতে অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৩
ইএস/এসআইএ