ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

অভিবাসী নারী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে হাইকোর্টে রিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
অভিবাসী নারী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে হাইকোর্টে রিট

ঢাকা: অভিবাসী হতাহত সংক্ষুব্ধ নারী শ্রমিক বা তার পরিবারের যথাযথ ক্ষতিপূরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘লাশ হয়ে ফিরলেন ৭১৪ নারী’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের  আইনজীবী আঞ্জুমান আরা।



বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।  

রিটে অভিবাসী নারী শ্রমিকদের ওপর নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক আচরণ বন্ধ এবং নিরাপদে দেশে ফেরার নিশ্চয়তা ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।  

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব,পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, বিএমইটির মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ১২ জনকে।  


দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ৪০৪ জন নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে। তাদের মধ্যে ২২৭ জনের ক্ষেত্রে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’লেখা ছিল।  

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের তথ্য বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাত বছরে ৭১৪ নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে। তাদের মধ্যে ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যুর সনদ লেখা লাশের সংখ্যা ২৬২। আর ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে ৩১৯ নারী শ্রমিকের লাশ দেশে আসে। যাদের মধ্যে ২২০ জনের ক্ষেত্রে লেখা ছিল ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’।  

অন্যদিকে ব্র্যাকের গত সাত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, এই সময়ে যেসব নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে, তাদের মধ্যে ১৩৮ জনের মৃত্যুর কারণ লেখা ছিল ‘স্ট্রোক’। ১১৬ জনের ক্ষেত্রে ‘আত্মহত্যা’। ১০৮ জনের ক্ষেত্রে ‘দুর্ঘটনা’। ১৬ জনের ক্ষেত্রে ‘হত্যা’। এর বাইরে করোনা, ক্যানসার, অজানা রোগ বা কোনো কারণ উল্লেখ না করেই দেশে নারী শ্রমিকের লাশ পাঠানোর ঘটনা ঘটেছিল।
  
এদিকে অভিবাসন নিয়ে কাজ করা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) ২০১৭ সাল থেকে দেশে আসা ৫৪৮ নারী শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ ও করণীয় বিষয়ে একটি গবেষণা করেছে।  
 
‘ডেথ অব ফিমেল মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ইন ডেস্টিনেশন কান্ট্রিজ’ শিরোনামের সেই গবেষণায় সনদে থাকা মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, ৬৯ শতাংশ নারী শ্রমিকের ‘স্বাভাবিক’ ও ৩১ শতাংশের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
  
বিদেশে মারা যাওয়া শ্রমিকের লাশ দেশে আনার কাজটি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে হয়।

লাশ দাফনের জন্য তারা বিমানবন্দরে পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা দেয়। পরে মারা যাওয়া শ্রমিকের পরিবারকে তিন লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেয় বলে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩/আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।