ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ঢাকার দুই মেয়র ও রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
ঢাকার দুই মেয়র ও রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রুল

ঢাকা: ঢাকার রাস্তা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও গাড়ি পার্কিং বন্ধে হাইকোর্টের রায় পালন না করায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানির পর বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রায় বাস্তবায়ন না করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরেসদ। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে বিবাদীদের আইনি নোটিশ পাঠানো হলেও তারা সাড়া দেননি। যে কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনতে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।

ঢাকার রাস্তা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও গাড়ি পার্কিং বন্ধে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)-এর পক্ষে ২০১৫ সালে একটি রিট করা হয়। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানির পর আদালত রুল জারি করেন।

অনুমোদনহীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, অবৈধ স্থাপনা অপসারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে কোন কোন ভবনে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় নকশাবহির্ভূত স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে, রাজউক চেয়ারম্যানকে ৬০ দিনের মধ্যে সেই তালিকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই নির্দেশের পর রাজউক গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার কয়েকশ ভবনের তালিকা আদালতে দাখিল করে। পরে বিভিন্ন সময় রাজউক প্রতিবেদন দিয়ে আদালতকে জানায়, ২০১৬ সাল থেকে তারা এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। পরে রুলের চূড়ান্ত শুনানি করে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই রায় দেন উচ্চ আদালত।

রাজধানীতে সড়কের পাশে যেসব ভবনে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় নকশাবহির্ভূতভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকান তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো এক মাসের মধ্যে ভেঙে ফেলতে ভবন মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয় রায়ে। ভবন মালিকরা তা না করলে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে তা করতে রাজউককে নির্দেশ দেওয়া হয়। আর ভাঙার খরচ ভবন মালিকের কাছ থেকে আদায় করতে বলে দেন আদালত।

এছাড়া বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি দিতে এবং মাইকিং করতে রাজউককে নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা থেকে অননুমোদিত পার্কিং সরাতে আইনগত পদক্ষেপ নিতে সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেন আদালত। রাজউক, সিটি করপোরেশন রায় বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবং রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আদালতে প্রতিবেদন না দেওয়ায় গত বছর ১৭ নভেম্বর দুই মেয়র ও রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে অনুরোধ করা হয়। নোটিশ পাওয়ার পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে যেন রায়ের নির্দেশনা অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু পদক্ষেপ না নেওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগ আনতে আবেদন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।