লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জবিউল হক মাস্টার নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার ১৪ বছর পর দুই আসামিকে সাজা দিয়েছেন আদালত।
এর মধ্যে আসামি মো. জুয়েলের (৩৮) মৃত্যুদণ্ড এবং মাহবুব ওরফে মাফুকে (৩৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আজিজুল হক এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সেবাগ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে এবং মাহবুব মৃত মানিক হাওলাদারের ছেলে। ভিকটিম মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হক একই এলাকার হাজী আবদুল কাদেরের ছেলে।
আদালতের এপিপি মো. আবুল কালাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা গেছে, জমি থেকে মাটি কাটার জেরে ২০০৯ সালের ২৩ জুন বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশী আবদুর রশিদের ছেলে আলাউদ্দিন চৌধুরীর (৫৪) নির্দেশে অভিযুক্তরা মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হকের মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাথা ফেটে রক্ত বের হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় ভিকটিম জবিউল হকের ভাই হাজী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে আলাউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ২১ মে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দেন লক্ষ্মীপুর সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহাম্মদ।
অভিযোগপত্রে তিনি মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিনসহ আবদুল্লাহ, মাহবুব, স্বপন, জুয়েল ও মাকসুদ হাওলাদারকে অভিযুক্ত করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার ৫ নম্বর আসামি জুয়েলের মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ নম্বর আসামি মাহবুব ওরফে মাফুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
রায়ে মামলার প্রধান আসামি ও চার্জশিটভুক্ত আলাউদ্দিন, আবদুল্লাহ, স্বপন ও মাকছুদ হাওলাদারকে খালাস দেওয়া হয়।
এদিকে রায়ের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নুরুল ইসলাম। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ঘটনার নির্দেশদাতা ও মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিন খালাস পেয়েছে। আমরা তার খালাসের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
আরএ