ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীর পরিচয় শনাক্তে কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
আবেদনে ওই নোটিশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না এবং ওই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার ও মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় আচার পালনে বাধা না দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ রিট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ।
তিনি বলেন, কান ও মুখ খোলা রাখার নিদের্শনা যারা পর্দা করেন তাদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী। তাই এ রিট আবেদন করা হয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান একটি বিজ্ঞপ্তি দেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/ প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে। ”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়: “১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ”
এ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। রিটে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিসট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
ইএস/এসএএইচ