ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাবেক ভায়রাকে হত্যার ২৭ বছর পর এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
সাবেক ভায়রাকে হত্যার ২৭ বছর পর এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন 

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ২৭ বছর আগে সাবেক ভায়রাকে হত্যার দায়ে মো. ইয়াসিন নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

স্ত্রীর চাচাতো বোনকে তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক ভায়রা আবু ছায়েদকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ইয়াছিন।  

২৭ বছর ধরে হত্যা মামলাটির শুনানি শেষে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা জজ আদলতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।  

ইয়াসিন নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দক্ষিণ দেলিয়া গ্রামের মৃত আতিক উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় কাপড়ের ফেরিওয়ালা ছিলেন।  

ভিকটিম আবু ছায়েদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পালপাড়ার মৃত মনসুর আলমের ছেলে। তিনি দিনমজুর ছিলেন।  

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, আবু ছায়েদ বিয়ে করার তিন বছরের মাথায় তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তাদের ঘরে এক বছরের একটি সন্তান রয়েছে। দেড় বছর পর আবু ছায়েদ পাশের নোয়াখালী জেলার চাটখিলে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তবে প্রথম স্ত্রীর সন্তানকে লালনপালন করা নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। এর জের ধরে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেন। ঘটনার এক বছর পর ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আবু ছায়েদ তাদের প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের বাড়িতে দিনমজুর দিতে যান। সেদিন সকাল ১১টার দিকে ওই বাড়িতে ফেরি করে কাপড় বিক্রি করতে যান আবু ছায়েদের তালাক দেওয়া স্ত্রীর চাচাতো বোনের স্বামী মো. ইয়াছিন। ওই সময় শ্যালিকাকে তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে আবু ছায়েদকে গালিগালাজ করেন ইয়াছিন। এতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। একপর্যায়ে ইয়াছিন ক্ষিপ্ত হয়ে একটি কাঠ দিয়ে আবু ছায়েদের মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নোয়াখালীর হাসপাতালে নিলে ওই রাতেই আবু ছায়েদের মৃত্যু হয়।  

এদিকে স্থানীয় লোকজন হত্যাকারী ইয়াছিনকে আটকে রাখলেও পরে তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।  

পরে ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নিহত আবু ছায়েদের ছোট ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে ইয়াছিনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৩১ আগস্ট ইয়াছিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন সদর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) নেপাল রঞ্জন বড়ুয়া।  

দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ২৭ বছর পর সোমবার এ রায় দেন বিচারক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।