ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

অর্থ পাচার মামলায় রিজেন্টের মাসুদের জামিন স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
অর্থ পাচার মামলায় রিজেন্টের মাসুদের জামিন স্থগিত

ঢাকা: অর্থ পাচার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের সহযোগী ও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

মাসুদ পারভেজের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২০ মার্চ) চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি জানান, গত ১৫ মার্চ হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছিলেন। সেই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করলেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

এজাহার থেকে উল্লেখ করে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা করেন সিআইডির উপপরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। প্রায় দেড় বছর তদন্ত শেষে সেই মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়। চার্জশিটে সাহেদ ও রিজেন্টের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

কোভিড মহামারি শুরু হলে মো. সাহেদ তার প্রধান সহযোগী মাসুদ পারভেজের মাধ্যমে রিজেন্ট ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের নামে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে একটি হিসাবও খোলা হয়। হিসাবটি পরিচালনা করেন মাসুদ পারভেজ ও তার বাবা সিরাজুল করিম। ২০২০ সালের ১ মার্চ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত হিসাবটিতে সর্বমোট ৩ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার ২২৭ টাকা জমা হয়।

সিআইডির তদন্ত অনুসারে, সাহেদ জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কোভিড সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে জনপ্রতি যে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে নিতেন, সেসব অর্থ এই হিসাবে জমা হতো। জালিয়াতির অর্থ ও প্রতারণার অর্থ তিনি তার নিজের ও সহযোগীদের নামে ছাড়াও রিজেন্ট হাসপাতাল এবং অস্তিত্বহীন ১২টি প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৪৩টি হিসাব পরিচালনা করতেন। এসব হিসাবে মোট ৯১ কোটি ৭০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৭ টাকা জমা হয়। এর মধ্যে ৯০ কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার ৫২৪ টাকা উত্তোলন করেন। বর্তমানে এসব হিসাবে ২ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার ১১ টাকা স্থিতাবস্থায় রয়েছে।

আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে বলা হয়েছে, সাহেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজসহ সহযোগীরা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানান্তর-রূপান্তর-হস্তান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর বিভিন্ন ধারায় অপরাধ করেছে। প্রতারণা ও জালিয়াতিকাজে ব্যবহারের জন্য তার মালিকানাধীন তিনটি প্রতিষ্ঠানও চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।