ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচলের রিট আরও ১ মাস মুলতবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচলের রিট আরও ১ মাস মুলতবি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল (বাইক) চলাচলের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আরও চার সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৯ মার্চ) রিটটি মুলতবি করেন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার ও আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে, রিটের পর গত ২৫ জানুয়ারি ওই রিটের শুনানি আট সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছিলেন হাইকোর্ট।

পরে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, রিটের পর কোর্ট সরকারকে আট সপ্তাহ সময় দিয়েছিলেন।  সময় শেষ হলে আজকে মামলাটি আবার কার্যতালিকায় আসে। এখানে একটা ডেভেলপমেন্ট আছে। সেটা হলো সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে সেতু বিভাগে একটা চিঠি দিয়েছিল।

চিঠিতে বলা হয়- রিট আবেদনের ছায়ালিপির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে পাঠানো হল। অর্থ্যাৎ আমাদের আবেদনটি মহাসড়ক বিভাগ সেতু বিভাগের কাছে পাঠিয়েছে। এটা আদালতের নজরে আসার পর আদালত বলেন- সরকার যেহেতু এটা টেকআপ করেছে অতএব সময় দেওয়া হোক। এরপর চার সপ্তাহ সময় দিয়েছেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আমরা আশা করি সরকার চার সপ্তাহের মধ্যে একটি রিজেনবল সিদ্ধান্ত নেবেন। ৩৮ লাখ মোটরবাইকের চালক আছে তাদের অধিকার সমন্নুত করবে।

আবু হানিফ হৃদয় নামের যাত্রাবাড়ীর এক বাসিন্দা এ রিট করেন। এর আগেও তিনি এ সংক্রান্ত একটি রিট করেছিলেন। যেটি গত ১৫ জানুয়ারি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

রিটে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

এরপর নতুন করে তিনি আবার রিট করেন। গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। পরদিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সেদিন (২৬ জুন) এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, আগামীকাল ২৭ জুন ২০২২, সোমবার ভোর ৬টা থেকে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

রিটের পর তৈমুর আলম খন্দকার জানান, মোটরসাইকেলের লাইসেন্স নেওয়ার সময় আলাদা কোনো স্থানে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। এছাড়া দেশের কোনো ব্রিজেও মোটরসাইকেলে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা নেই। এখানে বলা হচ্ছে দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনাতো অন্যান্য স্থানেও হয়। তাই নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল। যেমন ব্রিজে স্পিড গভর্নর বসিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
ইএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।