ঢাকা: হিন্দু নারীদের ডিভোর্স, ভরণপোষণ, অভিভাবকত্বসহ সমান অধিকারের প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
ছয়টি বেসরকারি সংস্থা ও তিন ব্যক্তির করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১৪ মে) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
রুলে হিন্দু নারীদের ডিভোর্স, রেজিস্ট্রেশন, রক্ষণাবেক্ষণ (ভরণপোষণ), অভিভাবকত্ব, দত্তক এবং সমান অধিকার ও মৌলিক অধিকার রক্ষায় নির্দেশিকা বা নীতি গ্রহণ অথবা সমস্যা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
একইসঙ্গে এসব বিষয়ে সমস্যা সমাধানে কেন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব, আইন সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, এস এম রেজাউল করিম, সৈয়দা নাসরিন ও শাহীনুজ্জামান।
গত ২ মে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট উজ্জল পাল, কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা পলি ব্যানার্জি, নাটোর সদরের বিতিশা বাগচীর সঙ্গে এই রিট করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, নারীপক্ষ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও অভিযান।
শাহীনুজ্জামান জানান, কয়েকটি সংগঠন, বাংলাদেশের হিন্দু নারীদের যে অধিকার আছে, সে অধিকার বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলেন একজন আইনজীবী এবং আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী। রিটে হিন্দু নারীদের ডিভোর্স, বিয়ে রেজিস্ট্রেশন, ভরণপোষণ নিয়ে যে অসামঞ্জস্য আছে, সে বিষয়ে গাইডলাইন করার আবেদন করা হয়। আদালত চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
ইএস/আরএইচ