ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গেন্ডারিয়ার সেই পুকুর ভরাট-নির্মাণকাজের ওপর স্থিতাবস্থা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
গেন্ডারিয়ার সেই পুকুর ভরাট-নির্মাণকাজের ওপর স্থিতাবস্থা

ঢাকা: রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় শত বছরের পুরোনো ডিআইটি প্লট পুকুর ভরাট-দখল, স্থাপনা অবকাঠামো নির্মাণের ওপর স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টে।

জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৫ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে এ পুকুরের দখল কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং আএস ও সিএস অনুসারে পুকুর কেন রক্ষা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।  

পরিবেশ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, ঢাকার জেলা প্রশাসক, শ্যামপুর, গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), শ্যামপুরের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহানা আক্তার, সাবেক কাউন্সিলর সাইদুর রহমান শহীদসহ ১১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

পরে মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত রুল জারি করেছেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন। আদেশে পুকুর ভরাট-দখল, স্থাপনা, অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধে স্থিতাবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজউক, সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন এটা কার্যকরী করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে।

এর আগে রোববার (৪ জুন) রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় শত বছরের পুরোনো ডিআইটি প্লট পুকুর রক্ষায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবি’র পক্ষে সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ রিট আবেদন করেন।

রিটে বলা হয়েছে, বিবাদীরা বিদ্যমান আইন অনুসারে বন্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিলে রাজধানীর শ্যামপুর-গেন্ডারিয়া এলাকার পুকুর দখল, ভরাটের মতো ঘটনা ঘটতো না। তাছাড়া নদী, জলাধার, পুকুর ভরাট-দখল বন্ধ করতে বিবাদীরা আইনত বাধ্য। গেন্ডারিয়া এলাকার পুকুরটি ব্যক্তি মালিকানাধীন হলেও মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা, পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ এর ২(চ) অনুসারে প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত। বিদ্যমান এ আইনের ৮ ধারা অনুসারে প্রাকৃতিক জলাধার, ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। কেউ তা করলে ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। পরে ডিআইটি পুকুরের জায়গায় মাটি ভরাট, দখল, স্থাপনা বা অবকাঠামো নির্মাণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য। তারপরও পুকুরটি ভরাট-দখল ঠেকাতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাসহ অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনবে। তাছাড়া আইনের প্রয়োগ না হলে আইনের অপব্যবহার ঘটে। আর এতে নাগরিককে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৩
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।