ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

কনস্টেবল বাদল হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৩
কনস্টেবল বাদল হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকা: প্রায় ১০ বছর আগে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যা মামলায় ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (০৬ জুন) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা তেহসিন ইফতেখার এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—রিপন নাথ ঘোষ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, ইব্রাহিম খলিল ওরফে কসাই খলিল, রতন চন্দ্র দাস ও হুমায়ন কবীর। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

এছাড়া লাশ গুমের দায়ে তাদের আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৫ মাস কারাদণ্ড দেন আদালত।

আসামিদের মধ্য বিশ্বজিৎ, ইব্রাহিম ও রতনকে রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানাধীন টিএন্ডটি কলোনিস্থ এলাকা থেকে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তার পকেট থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়। সেখানে দেখা যায়, তিনি একজন পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক আব্দুল লতিফ মামলা করেন।

মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় রিপন নাথ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র ও খোকন নাথ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনায় তাদের আত্মীয় রাজিব ও গোপাল চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। তারা সন্দেহ করেন, বাদল মিয়া থানা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সজিবকে গ্রেপ্তার করিয়েছেন।

এ ধারণার বশবর্তী হয়ে ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাদল মিয়াকে আসামিরা তার কর্তব্যস্থল শাহবাগ চত্বর থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত হলুদ ট্যাক্সিতে তুলে মতিঝিল থানাধীন কালভার্ট রোড সংলগ্ন নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। লাশ গোপন করতে সিএন্ডটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের রোডে ফেলে যায়।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউল আলম। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।