ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

যমুনা নদী সঙ্কীর্ণ করার পরিকল্পনা নেই, রিট খারিজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
যমুনা নদী সঙ্কীর্ণ করার পরিকল্পনা নেই, রিট খারিজ

ঢাকা: যমুনা নদী ছোট বা সঙ্কীর্ণ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে আদালতকে জানানোর পর রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারী আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’ শিরোনামে একটি সংবাদ জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।

গত ২৮ মে রিটের ওপর শুনানি হয়। ওইদিন আদালত শুনানি নিয়ে সেই প্রজেক্ট প্রপ্রোজালসহ সব নথি আগামী ১০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। সেই নথি দেখে পরে আদালতের আদেশ দেওয়ার কথা ছিল।

সেই অনুযায়ী রোববার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রয়োজনীয় নথি আদালতে দাখিল করে সংস্থাটির আইনজীবী অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১ শিরোনামের প্রস্তাবিত প্রকল্পে যমুনা নদী ছোট বা সঙ্কীর্ণ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর নদী খনন ও সংস্কারের যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনো এই প্রকল্পের অনুমোদন হয়নি।

আরও পড়ুন: যমুনা নদী সঙ্কীর্ণ করার পরিকল্পনা নেই: হাইকোর্টকে পাউবো

পরে আদালত আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন।

আদেশের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আদালতে তারা প্রজেক্ট প্রোফাইল দাখিল করে বলেছেন যমুনা নদী ছোট করার পরিকল্পনা নেই। যেহেতু ছোট করা হবে না, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।  

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতি বছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন আইডিয়া এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে। এজন্য তারা ১১শ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যখন বারবার ব্যয় সংকোচনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে, সে সময় মন্ত্রণালয়টি এমন প্রকল্প নিয়েছে কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়াই। বিশেষজ্ঞরা বিরল এ প্রকল্পকে অবাস্তব বলছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
ইএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।