ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আদালতে দোষ স্বীকার করলেন সেন্ট্রাল হসপিটালের দুই চিকিৎসক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
আদালতে দোষ স্বীকার করলেন সেন্ট্রাল হসপিটালের দুই চিকিৎসক

ঢাকা: ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ও মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যুঝুঁকির বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন সেন্ট্রাল হসপিটালের চিকিৎসক ডা. শাহজাদী ও ডা. মুন্না। আদালতে বিচারকের সামনে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারপতি তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এদিন দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর ডা. শাহজাদী ও ডা. মুন্নাস্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে তাদের জবানবন্দী রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমী আসামি শাহজাদীর ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা আসামি মুন্নার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

সিএমএম আদালতে ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভুল চিকিৎসায় মাহবুবা রহমান আঁখির সন্তানের মৃত্যু ও তার মৃত্যুঝুঁকির অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার (১৪ জুন) ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের হয়। আঁখির পরিবার ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র অভিযোগে পাঁচজনের নাম ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে মামলাটি করে। ডা. শাহজাদী ও ডা. মুন্না মামলার প্রথম ও দ্বিতীয় আসামি। মামলা দায়েরের পর বুধবার রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের প্রতারণায় সন্তান হারান ইয়াকুব আলী সুমন। তার স্ত্রী মাহবুবা রহমান আঁখিও রয়েছেন মৃত্যুঝুঁকিতে।
সুমনের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তার স্ত্রীর অবস্থাও সংকটাপন্ন।

আঁখির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস ধরে তিনি সেন্ট্রাল হসপিটালের গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থাও স্বাভাবিক ছিল। সংযুক্তার পরামর্শ অনুযায়ী তিনি স্বাভাবিক পদ্ধতিতে (নরমাল ডেলিভারি) সন্তান প্রসবের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। চিকিৎসক তাকে সেভাবেই আশ্বস্ত করেছিলেন।

আঁখির প্রসব ব্যথা ওঠায় গত ৯ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটে ডা. সংযুক্তার অধীনে সেন্ট্রাল হসপিটালে তাকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু এ সময় ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে ছিলেন না। কিন্তু হাসপাতালে কর্তব্যরতরা আখিঁর পরিবারের সঙ্গে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। তারা জানান, সংযুক্তা হাসপাতালেই আছেন এবং অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) কাজ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
কেআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।