নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গা থানার একটি অপহরণ মামলা দায়েরের ২০ বছর পর দুলাল মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে নাটোরের শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত দুলাল মিয়া নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৩০ আগস্ট দুলাল মিয়া উপজেলার ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানে মিরপুরের একটি বাসায় আটকে রেখে দিনের পর দিন মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তিনি।
কিছুদিন পর মেয়েটি কান্নাকাটি করলে দুলাল মিয়া তাকে ফেলে রেখে নলডাঙ্গায় বাড়িতে চলে আসেন। পরে মেয়েটি সেখান থেকে কোনোভাবে বাড়ি ফিরে এসে তার মাকে বিস্তারিত ঘটনা জানায়। পরে একই বছরের ১২ অক্টোবর মেয়েটির মা বাদী হয়ে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে দুলালের নামে আদালতে চার্জশিট দেয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে মামলা দায়েরের প্রায় ২০ বছর পর সোমবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় দেন। একই সঙ্গে আসামির কাছ থেকে প্রাপ্ত জরিমানার ৩০ হাজার টাকা মেয়েটিকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
নাটোরের শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটার (স্পেশাল পিপি) আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
এসআই