ঢাকা: সাভারের বংশী নদী দূষণ ও অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে আদালতের আদেশ অনুসারে প্রতিবেদন দাখিল না করায় সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১৮ জুলাই আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আবেদনকারী আইনজীবী মোহাম্মদ বাকির হোসেন মৃধা। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কালীপদ মৃধা।
২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘দখল-দূষণে শেষ বংশী নদী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গিলে খাচ্ছে রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের বংশী নদী। এ নদীর বিরাট এলাকা প্রভাবশালীদের দখলে থাকলেও উদ্ধারে উদ্যোগ নেই। নদীর মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে দেদারসে। এসব কারণে ভালো নেই সাভার উপজেলার ৪০ থেকে ৪২ লাখ বাসিন্দা। ’
পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন সাভারের স্থানীয় বাসিন্দা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বাকির হোসেন মৃধা।
ওই রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদেশে বংশী নদীর দূষণ বন্ধ এবং ৩০ দিনের মধ্যে দূষণ ও দখলদারদের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা), রাজউক, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), সাভারের ভূমি কর্মকর্তা, ঢাকা জেলার এসপি ও সাভার থানার ওসিকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত।
পরে ২০২১ সালের নভেম্বরে আরেকটি আবেদন করেন আইনজীবী বাকির হোসেন। ওই বছরের ২১ নভেম্বর তিনি জানান, আদালতের আদেশ মতো প্রতিবেদন না দেওয়ায় আদালতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আবেদন করি। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বাকির হোসেন জানান, ওই রুল জারির পর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু ফের অবৈধ দখলদাররা দখল করে নেওয়ায় আদালত দখলমুক্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন।
তবে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এই প্রতিবেদন দাখিল না করায়, তাকে আদালতে তলব করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
ইএস/এনএস