মানিকগঞ্জ: প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আমি যখন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিই, তখন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আমাদের বিচারালয় আছে, অবকাঠামো আছে, আইনজীবীদের বসার জায়গাও আছে অথচ যারা বিচার চাইতে আসেন তাদের বসার কোনো জায়গা নেই।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ জজ কোর্টের সামনে ন্যায়কুঞ্জ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারা দেশে বিচার প্রার্থীরা আদালতে আসেন, তাদের বিশ্রামের কোনো জায়গা নেই অথচ সেবা দেওয়ার জন্য বিচারক আইনজীবী নিয়োজিত রয়েছেন। প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন। প্রতিদিন আদালত প্রাঙ্গণে লাখ লাখ মানুষ আসেন, তারা যে একটু স্বস্তিতে বসবেন সেই ব্যবস্থাটুকু নেই।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি এ বিষয়টি উপস্থাপন করলে তখন প্রধানমন্ত্রী তার সচিবকে বলেন, কেন এতদিন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ওই সময় আমাদের এই উপস্থাপনের ভিত্তিতে ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন, প্রতিটি জেলায় ৫০ লাখ টাকা করে দিলেও আমরা ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করতে পারবো। ন্যায়কুঞ্জে ৭০টি চেয়ার দুটি টয়লেট এবং এক কোনে একটি ফাস্ট ফুডের দোকান থাকবে, সেখান থেকে যে আয় হবে তা দিয়ে এই ন্যায়কুঞ্জ পরিষ্কার-পরিছন্নতার কাজ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনার সময় ২০২০-২০২১ সালে মামলা পরিচালনার গতি কিছুটা কমে যায়, তবে ২০২২ সালে পুনরায় মামলা পরিচালনার গতি বেড়েছে। প্রায় ৩৪টি জেলায় মোকাদ্দমা ডিসপোর্টের রেট ১০০ হয়েছে। এই ডিসপোর্টের রেট যদি ১২০ থেকে ১৩০ পারসেন্ট বাড়াতে পারি তবে আগামী ৫ বছরের মধ্যে মামলার জটলা কমাতে পারবো।
ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এস কে এম তোফায়েল হাসান, মানিকগঞ্জ দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার, জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশ সম: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুন ১৫৪৭ ঘণ্টা, ২০২৩
আরএ