ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৩০ বছর ধরে জেলে থাকা সেই আলাউদ্দিনের সাজা গণনা প্রশ্নে রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
৩০ বছর ধরে জেলে থাকা সেই আলাউদ্দিনের সাজা গণনা প্রশ্নে রুল

ঢাকা: টানা ৩০ বছর জেলে থাকা শরীয়তপুরের আলাউদ্দিনের সব সাজা গ্রেপ্তারের তারিখ থেকে একসঙ্গে গণনা করা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (২৬ জুন) বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।

 

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, আইজি প্রিজন্স, জেলা প্রশাসক বরিশাল, জেলা প্রশাসক শরীয়তপুর ও বরিশাল কারাগারের জেলারকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী বিভূতি তরফদার।  

আইনজীবী জানান, একটি হত্যা মামলায় ১৯৯৩ সালের ২৭ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন আলাউদ্দিন। এ মামলায় ২০০১ সালের ১ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হয়। ১০ আসামি হাইকোর্টে আপিল করে ২০০৭ সালে খালাস পান।

কিন্তু যাবজ্জীবন সাজা ভোগ শেষ হওয়া সত্ত্বেও আলাউদ্দিন কারাগারে আছেন- এ বিষয়ে চ্যানেল টুয়েন্টিফোর টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর আলাউদ্দিনকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিতে কেন তাকে আদালতে হাজির করা হবে না—এ বিষয়ে রুল দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তাকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ার হোসেন গত ২৯ মে রিট করেন।

রিটের শুনানিতে ১ জুন হাইকোর্ট রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চান, আলাউদ্দিনের নামে অন্য কোনো মামলা আছে কি না? তাকে ছাড়া হচ্ছে না কেন? এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে ৬ জুন জানাতে বলেন আদালত। এর ধারাবাহিকতায় চারটি মামলায় আলাউদ্দিনের সাজা, দণ্ড প্রদানকারী আদালতের নাম ও সাজার তারিখসহ তথ্যাদি আদালতে তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ।

একটি হত্যা মামলা ছাড়াও শরীয়তপুরের গোসাইরহাট এলাকার মো. আলাউদ্দিন ওরফে কামাল ওরফে নূরে আলম আরও তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তার মোট সাজার পরিমাণ ৭৭ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা ১ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকা। বরিশাল কারাগারে থাকা আলাউদ্দিন এখন পর্যন্ত ৩০ বছর ৪ মাস ১ দিন সাজা ভোগ করেছেন।  

শুনানি শেষে রিটটি যথাযথ আকারে না হওয়ায় উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।  

এরপর নতুন করে রিট করেন আইনজীবী বিভূতি তরফদার। তিনি জানান, কেউ একের অধিক মামলায় সাজা পেলে রায়ে পরের সাজা একসঙ্গে চলবে কি না না কি আলাদা করে চলবে সেটা বলে দেওয়া। কিন্তু আলাউদ্দিনের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। তাই তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। এজন্য তার সব সাজা মামলা অনুসারে একসঙ্গে গণনা করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছি। আদালত রুল দিয়েছেন।

তিনি বলেন, একসঙ্গে গণনা করলে আলাউদ্দিন হয়তো এতদিনে মুক্তি পেয়ে যেতেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।