ঢাকা: সমাজে অবহেলিত হিজড়া জনগোষ্ঠীকে মাসিক ভাতা, পৃথক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সুবিধা দিতে সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ নোটিশ দেন।
৩০ দিন সময় দিয়ে সমাজকল্যাণ সচিব, অর্থ সচিব, শিক্ষা সচিব ও আইন সচিব বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, হিজড়ারা বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠী। তারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন, সমাজ থেকে অবহেলিত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্যের শিকার।
সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের যেকোনো অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার বিশেষ বিধান প্রণয়ন করতে পারবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালে হিজড়াদের উন্নয়নে নীতিমালা করেছে। কিন্তু সেটা কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ এবং হিজড়াদের কল্যাণে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে হিজড়া জনগোষ্ঠী মানবেতর জীবনযাপন করছে। বেঁচে থাকার জন্য তারা মানুষের কাছে হাত পাততে বাধ্য হচ্ছে।
নোটিশে বলা আরও বলা হয়েছে, জন্মের পর থেকে হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে হিজড়ারা তাদের পরিবার থেকেই বঞ্চনার শিকার হন। পরিবার থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। এছাড়া শারীরিক পার্থক্যের কারণে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনা করতে পারেন না। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বঞ্চনার কারণে তারা স্বাভাবিক কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারেন না। বৈষম্যের শিকার হয়ে হিজড়া জনগোষ্ঠী অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
তাই হিজড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে দেশের প্রতিটি হিজড়াকে মাসিক ভাতা দিতে হবে। হিজড়াদের জন্য পৃথক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। এছাড়া তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী হিজড়াদের জন্য সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
এ নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে এবং হিজড়াদের কল্যাণে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৩
ইএস/এমএইচএস