ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

লক্ষ্মীপুরে জাল টাকা রাখার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে জাল টাকা রাখার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন  দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ৫০০ টাকার ২৭৮টি জাল নোট (১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা) রাখার দায়ে আবদুল মতিন চৌধুরী (৪০) নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে।

 

বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।  

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর জসিম উদ্দিন বলেন, আসামির কাছ থেকে ৫০০ টাকা নোটের ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। এ আসামি কয়েকটি নাম ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

দণ্ডপ্রাপ্ত মতিন রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরআফজল গ্রামের আবদুর রউফ কামরুলের ছেলে। তিনি মতিন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মিজানুর রহমান মতিন ও মিজানুর রহমান মুতিন পরিচয়ে বিভিন্নজনের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন।  

এজাহার সূত্র জানা যায়, মতিন ইয়াবা ও জাল টাকার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। চরআফজল গ্রামের বাড়িতেই সেই ইয়াবা ও জাল টাকা রেখে ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মতিনের বাড়িতে র‌্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের অভিযানিক দল অভিযান চালায়। তখন পালানোর সময় র‌্যাব মতিনকে আটক করে। এতে মতিন ইয়াবা ব্যবসা করে বলে স্বীকার করেন। তখন তার ঘর থেকে ৫১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার ঘরের বিছানার তোষকের নিচ থেকে ৫০০ টাকা নোটের তিনটি বান্ডেল উদ্ধার করা হয়। এতে ৫০০ টাকার ২৭৮টি (১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা) নোট ছিল।  

এছাড়া তার ঘর থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দুইটি সিলসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়। যা দিয়ে তিনি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। ঢাকার মতিঝিল, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তার নামে ১২টি মামলা রয়েছে।  

জাল টাকা ও ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনার পরদিন র‌্যাব-১১ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (ডিএডি) মো. বুরহান উদ্দিন বাদী হয়ে মতিনের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই বছর ১৩ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগতি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কেশব চন্দ্র চৌধুরী আদালতে মতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।