ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সুজনের হাফিজ-বদিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
সুজনের হাফিজ-বদিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করে অনতিবিলম্বে জামিন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি এম হাফিজউদ্দীন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এসেছে আপিল বিভাগে। সুপ্রিমকোর্টের চার আইনজীবী সোমবার (২৪ জুলাই) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন।

গত ১২ জুলাই একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘খাদিজাকে জামিন না দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন: সুজন’ প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ আবেদন করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা। তিনি বলেন, সুজনের দুই জনের বিরুদ্ধে আমরা আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন করেছি।

মনিরুজ্জামান ছাড়া অন্য আইনজীবীরা হলেন, মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, মাহফুজুর রহমান রোমান ও শফিক রায়হান শাওন।

গত ১০ জুলাই আপিল বিভাগ খাদিজাকে জামিন না দিয়ে তার জামিন আবেদন চার মাসের জন্য মুলতবি করে রাখেন। পরে গত ১২ জুলাই খাদিজার মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দেয় সুজন।

ওই পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সরকারবিরোধী প্রচারণা ও কটূক্তির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে মাসের পর মাস জামিন না দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

বুধবার ১২ জুলাই হাফিজউদ্দিন খান ও বদিউল আলম মজুমদারের সই করা বিবৃতিতে খাদিজার মুক্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিশ্চুপের সমালোচনা করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানান তারা।

সুজনের পক্ষ থেকে খাদিজাকে অবিলম্বে জামিন দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তার বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলার জামিন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পর থেকে খাদিজার জামিনের আবেদন আদালত কর্তৃক বারবার খারিজ হচ্ছে। খাদিজাকে জামিন না দেওয়া চরম অমানবিক এবং আইন ও নীতি ভীরু, যা নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব ও বিচারবিভাগের স্বাধীনতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অবিলম্ব খাদিজাকে জামিন দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা রকমের নিবর্তনমূলক আইনগুলো বাতিলেরও জোর দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
ইএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।