ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

পিকে হালদারসহ ১৪ জনের মামলায় যুক্তিতর্ক ২ আগস্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের মামলায় যুক্তিতর্ক ২ আগস্ট

ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ ১৪ জনের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।  

বুধবার (২৬ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ-১০ মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য ছিল।

কারাগারে থাকা চার আসামিকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। তারা হলেন- অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। শুনানিকালে তারা আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। এরপর আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

পিকে হালদারসহ অন্য ১০ আসামি পলাতক। তাই তারা আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখতে পারেননি। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

দুদক কৌসুলি মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২০ জুলাই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক সালাউদ্দিনকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা শেষ করেন। এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১০৬ জন সাক্ষী থাকলেও বাড়তি দুজনসহ মোট ১০৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।   

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

এরপর মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।