ঢাকা: জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ১০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর নাম এমপিওভুক্তির নামে দুর্নীতি দায়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের সিস্টেম এনালিস্ট আবুল ফজল মো. বেলালকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। এছাড়া তার সহযোগী দক্ষিণ জয়নগর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক মো. জসিম উদ্দিনকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা আসামি আবুল ফজল মো. বেলাল উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামি জসিম উদ্দিন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আড়পাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) মো. সোহেল রানা, এবতেদায়ি প্রধান মো. হাবিবুর রহমান, এবতেদায়ী ক্বারি শেখ আনোয়ার হোসেন, বাঁশগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসার এমএলএসএস আজিবর রহমান, লক্ষ্মীপুর কেইউ ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক (পদার্থ) মো. শফিকুল ইসলাম, ইউএমসি দারুসসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) এম.ডি. রাশিদুল হককে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাদ্রাসা শাখার কোনো কর্মকর্তার এমপিও কারেকশন সিটে যাচাইকৃত স্বাক্ষর ছাড়াই বা উপ-পরিচালক অর্থ ও প্রশাসনের স্বাক্ষর ছাড়াই বিতর্কিত ১০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর নামসহ এমপিও’র চূড়ান্ত শিট প্রিন্ট আউট করেন এবং এমপিও প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিতর্কিত ১০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর নামে ২০১৩ সালের মে ও জুন বেতন-ভাতা উত্তোলন করে সরকারের ১ লাথ ৯৪ হাজার ২২০ টাকা ক্ষতি সাধন করেন।
এ অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক আবদুছ ছাত্তার সরকার রাজধানীর শাহবাগ থানায় ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদক উপপরিচালক হেলাল উদ্দিন শরীফ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ