ঢাকা: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আদালত প্রাঙ্গণ।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকাল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই মামলার রায় ঘোষণার পর বিএনপিপন্থী ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের 'ভুয়া-ভুয়া', 'রায় মানি না, মানবো না' বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়। অন্যদিকে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের বিএনপির বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এতে আদালত প্রাঙ্গণ উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
এদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুটি অভিযোগে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (০২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় দেন। এছাড়া রায়ে তাদের কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আদালতের এ রায়ের প্রতিবাদে জুতা প্রদর্শন করে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
গত বছর এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রুল খারিজ করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছর কারাদণ্ড
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২৩
এসসি/জেএইচ