ঢাকা: খুলনা থেকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়া চারজনসহ ৫ চিকিৎসককে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়।
সোমবার (২১ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের মধ্যে দুজন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া দুজন হলেন, ডা. লুইস সৌরভ সরকার ও ডা. শর্মিষ্ঠা মন্ডল। এছাড়া অন্য তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন, ডা. মো ইউনুসজ্জামান খান তারিম, ডা. মুসতাহিন হাসান লামিয়া ও ডা. নাজিয়া মেহজাবিন তিশা।
সোমবার পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের মধ্যে আসামি লুইস সৌরভ ও শর্মিষ্ঠা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। তাই তাদের রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী আসামি লুইস সৌরভের এবং অপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী আসামি শর্মিষ্ঠার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া অপর তিন আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেশের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্ন ফাঁসকারী বিশাল এক সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। এ মামলার তদন্তে তাদের নাম আসায় গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
এর আগে আগে সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে খুলনা বিএমএ মিলনায়তনে ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকদের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১৮ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে রাত ২টার মধ্যে সবাইকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান সিআইডি সদস্যরা। এ সময় তারা পরিবারের সদস্যদের সন্ধান চান।
আরও পড়ুন:
সাদা পোশাকে চার চিকিৎসককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ