ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সিলেটে হত্যা মামলায় ‘জজ মিয়ার’ যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
সিলেটে হত্যা মামলায় ‘জজ মিয়ার’ যাবজ্জীবন

সিলেট: সিলেটে ১৭ বছর পর হত্যা মামলায় জজ মিয়া (৪২) নামে এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ওই আসামিকে আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।



বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামাাণিক এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আহমদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত জজ মিয়া হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের আগোয়া মাইজের হাঁটি গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে। তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজারের কসবা ত্রিমুখী আমির মিয়ার কলোনির বাসিন্দা।

মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, সিলেটের বিয়ানীবাজারে থেকে ফেরি করে কাপড়ের ব্যবসা করতেন আব্দুল আউয়াল। ২০০৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ানীবাজার পৌরসভা এলাকার কসবা গ্রামে কাপড় বিক্রি করতে যান। বাকিতে কাপড় না দেওয়ায় ওই গ্রামের বাসিন্দা জজ মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে আব্দুল আউয়ালকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন ঘাতক জজ মিয়াকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই মজনু মিয়া বাদী হয়ে জজ মিয়াকে আসামি করে বিয়ানীবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-২৫(২)’০৬) দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিয়ানীবাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম খান জজ মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র নং-৮৫) দাখিল করেন।

একই বছরের ১৭ অক্টোবর আদালত এ মামলার বিচারকার্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানি ও ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আদালত আসামি জজ মিয়াকে ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুল ইসলাম ও আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন আমিনুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।