ঢাকা: অন্য এলাকা থেকে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় বদলি হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষকের যোগদানে পাঁচ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন শুনানির জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহা উদ্দিন বাহারের করা লিভ টু আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। ১১ শিক্ষকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, হাইকোর্ট ১১ শিক্ষকের যোগদানপত্র গ্রহণে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনের ওপর স্থগিতাদেশ না দিয়ে শুনানির জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
ওই ১১ শিক্ষকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ১১ শিক্ষকের যোগদানে পাঁচ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
রুলে বদলি ১১ শিক্ষকের যোগদানপত্র গ্রহণ না করায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় বদলি করা ওই শিক্ষকদের যোগদানপত্র গ্রহণ করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মোট ছয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তিনি জানিয়েছিলেন, আবেদনকারীরা দেশের বিভিন্ন বিভাগ, সিটি করপোরেশন, জেলা এবং উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই ১১ জন ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২২’ অনুযায়ী বদলির জন্য আবেদন করেন।
তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদন অনুযায়ী গত মার্চে তাদের কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করে অফিস আদেশ জারি করেন এবং বদলি আদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বদলিকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করার জন্য ছাড়পত্র দেন।
পরে তাদের বদলি করা প্রতিষ্ঠানে যোগদানের জন্য কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর যোগদানপত্র দাখিল করতে গেলে, তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। অনেক চেষ্টা করেও তারা যোগদান করতে পারেননি। ফলে কোনো বিদ্যালয়ে কর্মরত না থাকায় রিটকারী শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এই ১১ শিক্ষক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
ইএস/আরএইচ