ঢাকা: সেকেন্ড হোম তৈরির আশায় বিদেশে টাকা পাচারকারীদের জন্য প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বিরুদ্ধে হওয়া রায় দৃষ্টান্ত বলে অভিমত দিয়েছেন আদালত।
তাকে ২২ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত এই অভিমত দেন।
রোববার (০৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণ বিষয়ে দুদক আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, আদালত বলেছেন কেউ যেন সেকেন্ড হোম তৈরির আশায় বিদেশে যেন পাচার না করে। পিকে হালদারের এই রায় তাদের জন্য দৃষ্টান্ত। যারা টাকা পাচার করে দেশের অর্থনীতির চরম ক্ষতি করেছে ও অর্থনীতিকে তলানিতে নিয়ে গেছে।
পাচার করা টাকা ফেরত আনার বিষয়ে দুদক কৌশলী বলেন, যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনতে তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ভারতের কারাগারে বন্দি পিকে হালদারকে ফেরত এনে রায় কার্যকরে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই আইনজীবী।
এদিন ৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের অভিযোগে ভারতের কারাগারে বন্দি গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় পিকে হালদারকে ১০ বছর ও মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তার দুটি সাজা পর পর চলবে বলে আদেশ দেন আদালত। তাই তাকে ২২ বছর সাজাই ভোগ করতে হবে। অপরদিকে বাকি ১৩ জনকে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় ৩ বছর ও মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় ৪ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে তাদের দুটি সাজা একত্রে চলবে বলে ৪ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর এই মামলায় দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিন আদালত রায়ের জন্য ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২৩
কেআই/এসএএইচ