ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফেনী আদালতের এজলাস কক্ষে মারামারি ও ভাঙচুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
ফেনী আদালতের এজলাস কক্ষে মারামারি ও ভাঙচুর

ফেনী: ফেনী জেলা জজ আদালতের একটি আমলি আদালতের এজলাস কক্ষের অভ্যন্তরে বাদী ও বিবাদী পক্ষের মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষের ধাক্কা-ধাক্কিতে আদালতের একটি গ্লাস ভেঙে যায়।

পরে বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষের দুইজনকে দণ্ডবিধির ৩৪ ধারায় তিন দিন করে কারাদণ্ড দিয়ে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়।  

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ফেনী জেলা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আসামি পক্ষের মোশাররফ হোসেন (৫৫) এবং একই গ্রামের বাসিন্দা, বাদী পক্ষের এমরান হোসেন (২৮)।  

আদালত, মামলার বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবী সূত্র জানায়, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলাধীন আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সালামের সঙ্গে একই গ্রামের মোশাররফ হোসেন গংদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে ফেনীর আমলি আদালতে একটি মামলা চলছিল।  

মঙ্গলবার বিকেলে মামলার বাদী পক্ষের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আসামিরাও আদালতে হাজির ছিলেন। এসময় বাদী পক্ষের একজন লোক অন্য একজনকে মুঠোফোনে কথা বলার সময় আসামি পক্ষের লোকজনের উদ্দেশে কটাক্ষ করে কথা বলেন। মুঠোফোনের কটাক্ষ আসামি পক্ষের লোকজন শুনতে পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়।  

এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক-বির্তক ও মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে একজন ধাক্কা খেয়ে আদালতের এজলাসের গ্লাসের ওপর পড়ে, এতে আদালতের একটি গ্লাস ভেঙ্গে যায়। আদালতের এজলাস কক্ষে এ ধরনের মারামারির ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের কর্মচারী ও সেখানে অবস্থিত পুলিশ সংঘর্ষরত উভয় পক্ষকে আটক করেন।  

পরে তাদের দুইজনকে ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশেকুর রহমান দণ্ডবিধির ৩৪ ধারায় তাদের দুই পক্ষের দুইজন মোশাররফ হোসেন ও এমরান হোসেনকে তিন দিন করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।  

বাদী পক্ষের আইনজীবী সমীর কর ও আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
এসএইচডি/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।