ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

আদালতে আত্মসমর্পণ, অতঃপর জেলে গেলেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
আদালতে আত্মসমর্পণ, অতঃপর জেলে গেলেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র

দিনাজপুর: আপিল বিভাগের  এক বিচারপতিকে নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় এক মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র ও বিএনপির রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম আত্মসমর্পণ করার পর তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মেয়র।

পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। গত ৩ আগস্ট জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সমাবেশে বিএপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। যার ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় চার আইনজীবী আপিল বিভাগে আদালত অবমাননার আবেদন করেন।

আবেদনকারী চার আইনজীবী হলেন হারুন অর রশীদ, মাহফুজুর রহমান রোমান, মো.মনিরুজ্জামান রানা ও শফিক রায়হান শাওন।

এরপর ১৭ আগস্ট মেয়রকে তলব করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। ২৪ আগস্ট সকাল ৯টায় তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালত অবমাননার জন্য জাহাঙ্গীরকে কেন শাস্তি দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে তাকে কারণ দর্শাতে বলেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি ওই ভিডিও অপসারণ করতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৪ আগস্ট আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।  

ওই দিন আদালত ১২ অক্টোবর এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন রেখে সকাল ৯টায় সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। সে অনুসারে তিনি আদালতে হাজির ছিলেন।  

১২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও সাতদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া সাতদিনের মধ্যে তাকে দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেওয়া হয়।

আত্মসমর্পণের আগে মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সরকার বিএনপিকে দমন করতে নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে। আর আমার একটি কথার জন্য, মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট একটি আদেশ দিয়েছেন। আমি সেই আদেশ অনুযায়ী মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের প্রতি সম্মান রেখে অর্থদণ্ডের এক লাখ টাকা জমা দিয়েছি এবং আত্মসমর্পণ করছি।

এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক একেএম লিয়াকত আলী বলেন, আদালতে আত্মসমর্পণের পর মেয়রকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।