ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আমিনুলসহ বিএনপির তিন নেতা ৮ দিনের রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২৩
আমিনুলসহ বিএনপির তিন নেতা ৮ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা: রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকসহ তিনজনের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

 

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ মিয়া। আসামিপক্ষে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ও গোলাম কিবরিয়া।  

আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ অনেকে সরকারবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। সমাবেশে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরাসহ এজাহারনামীয় পলাতক আসামিরা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে মনোবল ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা দুষ্কৃতিকারীদের ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে আসে এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে।  

এক পর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাইরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগর ত্রিমুখীভাবে পুলিশের ওপর ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নিচে থাকা মোটরসাইকেলসহ স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে। এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ইট পাটকেল, দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স আহত হন। এ সময় আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, দুটি শর্টগান, একটি চায়না রাইফেল, একটি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।

এর আগে বুধবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে তাদের তুলে নেওয়ার দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  

এক ক্ষুদে বার্তায় রিজভী বলেন, রাত পৌনে ৪টার দিকে গুলশান হোটেল আমারির উল্টো পাশের বিল্ডিং থেকে আমিনুল হক ও মিরাজকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরদিন হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। অপরদিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি উন্নয়ন ও সমাবেশ করে। একইদিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ অন্য নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় সমাবেশ করে উচ্চ আদালতের আদেশে নিবন্ধন হারানো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারাও এ হরতালের পালন করে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২৩
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।