ঢাকা: নরসিংদীর হাঁড়িধোয়া নদীর জায়গা দখল গড়ে তোলা স্থাপনা ও অবকাঠামো উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (৫ নভেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।
নরসিংদীর জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের ৩০ দিনের মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যোটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
হাঁড়িধোয়া নদীর দখল-দূষণ নিয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদন যুক্ত করে দখল-দূষণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট আবেদন করা হয়।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী মো. সারওয়ার আহাদ। প্রাথমিক শুনানির পর গত ১৬ মে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
সিএস/আরএস রেকর্ড অনুসারে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের অংশে হাঁড়িধোয়া নদীর সীমানা নির্ধারণের পাশাপাশি নদী দূষণ-দখলকারীদের তালিকা তৈরি করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়। দুই মাসের মধ্যে তালিকা তৈরি করে তা আদালতে দাখিল করতে বলেন আদালত।
হাঁড়িধোয়া নদীর দখল-দূষণ সংক্রান্ত জেলা প্রশাসকের ওই প্রতিবেদন উপস্থাপনের এ আদেশ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের মুনসেফচর ও ঘোড়াদিয়া মৌজায় নদীর জায়গা দখলকারী ছয় ব্যক্তি ও দূষণকারী পাঁচ শিল্প প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও দূষণ বন্ধ করতে নরসিংদীর জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর দখল ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর পরবর্তী আদেশের তারিখ রেখে এ সময়ের মধ্যে বিবাদীদের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৩
ইএস/আরএইচ