ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফখরুলের জামিন শুনানি মুলতবি রেখে এজলাস ছাড়লেন বিচারক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
ফখরুলের জামিন শুনানি মুলতবি রেখে এজলাস ছাড়লেন বিচারক

ঢাকা: প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ দিতে গিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের চাপাচাপিতে শেষ পর্যন্ত এজলাস ছেড়ে খাসকামরায় চলে গেছেন বিচারক।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের ১০ মিনিটের জন্য বিচারকাজ মুলতবি রেখে এজলাস ছেড়ে খাসকামরায় চলে যান।

এর আগে গত ২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। ওইদিনই আদালত শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।  

সে অনুযায়ী আজ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা শুনানির জন্য এজলাসে হাজির হন। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে এজলাসে বসেন।

এ সময় ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ সময় বিচারকের কাছে এ সপ্তাহের মধ্যে শুনানির তারিখ চান মির্জা ফখরুলের আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। তখন বিচারক অন্য মামলা শুনানির পরে তারিখ নির্ধারণ করতে চান। তবে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এজলাসেই পরবর্তী শুনানির তারিখ দিতে অনুরোধ করেন। এরপর আদালত তারিখ না দিয়েই অন্য মামলা শুনানি করতে চাইলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ডায়াসে দাঁড়িয়ে তখনই শুনানির তারিখ চান।

একপর্যায়ে তাদের চাপাচাপিতে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ১০ মিনিটের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে শুনানির তারিখ জানাতে বলে এজলাস ছাড়েন বিচারক।

গত ২৯ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিবিধ মামলা দায়ের করে জামিন আবেদন করা হয়।  

এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেছেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

ওই দিনই রাত ৮টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপরদিকে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডাকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। বিএনপি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরদিন হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। অপরদিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি উন্নয়ন ও সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ।

একইদিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ অন্য নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় সমাবেশ করে উচ্চ আদালতের আদেশে নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামী। তারাও এ হরতাল পালন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।