ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বনজ কুমারের বিরুদ্ধে বাবুলের মামলার আবেদন হাইকোর্টেও খারিজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
বনজ কুমারের বিরুদ্ধে বাবুলের মামলার আবেদন হাইকোর্টেও খারিজ

ঢাকা: মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় ‘হেফাজতে নির্যাতনের’ অভিযোগ তুলে পিবিআইপ্রধান বনজ কুমারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করতে বাবুল আক্তারের আবেদন হাইকোর্টেও খারিজ করা হয়েছে।

বিচারিক আদালতের খারিজের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের করা রিভিশন আবেদন মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) খারিজ করে দেন বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী জানান, এ মামলায় ২০২১ সালের ১২ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত বাবুল আক্তার রিমান্ডে ছিলেন। কিন্তু তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর ১৫ মাস পরে এসে ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তিনি নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ পিবিআইয়ের প্রধানসহ সবার বিরুদ্ধে (ছয় কর্মকর্তা) একটি মামলার আবেদন করলেন। অভিযোগ করেছেন রিমান্ডে অমানবিক আচরণের। কিন্তু তিনি শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেননি। এরপর জজ কোর্ট এটি খারিজ করে দিলেন। পরে তিনি হাইকোর্টে রিভিশন করলেন। হাইকোর্ট গত বছর রুল দিয়েছেন। আজকে সেটি খারিজ করেছেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী জানান, তিনটি পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালত রুলটি খারিজ করেছেন। এক. এটি অনেক বিলম্বিত মামলা, অনেক দেরি করে মামলার আবেদন করা হয়েছে। দুই. মামলার আবেদনটি উদ্দেশ্যমূলক। কারণ এটি করা হয়েছে আবেদনকারীর স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তিন. পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ মামলার আবেদন। এমনটি হলে এরকম গুরুত্বপূর্ণ মামলায় পুলিশের তদন্ত আর অগ্রসর হবে না।

গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর কারাগারে থাকা বাবুলের পক্ষে তার আইনজীবী মামলা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে বাবুলকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হেফাজতে রেখে নির্যাতন করা হয়।

তবে হেফাজতে বাবুলকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। যে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা, জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, পিবিআইয়ের পরিদর্শক এনায়েত কবির, সাবেক পরিদর্শক এ কে মহিউদ্দিন সেলিম এবং সন্তোষ চাকমা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।