ঢাকা: গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুর ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু এবং দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
এ মামলায় কারাগারে থাকা দুদু ও স্বপনকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আব্দুল হাই। সেই আবেদেনর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন একই আদালত। একইসঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
সে অনুযায়ী আজ দুদুকে সশরীরে এবং স্বপনকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজির দেখিয়ে রিমান্ড শুনানি হয়। আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বিচারক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৫ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকায় বোনের বাসা থেকে দুদুকে আটক করে ডিবি। অপরদিকে গত ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় গুলশানের একটি বাসা থেকে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে গত ২ নভেম্বর খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্টন মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০/৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উস্কানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতি সাধন করে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে তিন দিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন এবং এএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ মামলার উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন—বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ